ইসলামপুরে ইসলামিক রিলিফের সুফল প্রকল্পের বন্যা বিপদসীমা সম্পর্কে আলোচনা সভা

সভায় বক্তব্য রাখেন কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলার বন্যা কবলিত মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্যার বিপদাপন্নতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নে ২৪ ডিসেম্বর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান। সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাইমস বাংলাদেশের কর্মসূচি প্রধান রায়হানুল হক খান।

কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের সুফল প্রকল্পের ব্যবস্থাপক শুশান্ত চন্দ্র দে রায়, প্রকল্প কর্মকর্তা মো. নাজিমুজ্জামান, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা নওশীন আরা ফেরদৌসী, রোকসানা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা খান মো. আবুল মুসা। সভায় কুলকান্দি ও চিনাডুলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য, শিক্ষক, ডাক্তার, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ মোট ৩০ অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় প্রধান অতিথি বলেন, আমরা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শুধু ঢাকায় বসে পূর্বাভাস তৈরি করে বিভিন্ন মিডিয়ায় পাঠাই। যাদের উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করি তাদের সাথে সরাসরি মতবিনিময় করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এরকম একটি আয়োজনের জন্য তিনি সুফল প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চেষ্টা করি পূর্বাভাস মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য। এক্ষেত্রে আপনাদের সচেতনতা ও আমাদের প্রচেষ্টার মধ্যে কার্যকরী সমন্বয় সাধন করতে পারলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি আরও কমানো সম্ভব হবে। দীর্ঘদিন আগে স্থাপিত বাহাদুরাবাদ পয়েন্টের বিপদসীমা জরিপের মাধ্যমে পুনঃনির্ধারণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।