সাংবাদিক শেলু আকন্দকে নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি

স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ছবি : মাহমুদুল হাসান মুক্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে সাংবাদিক শেলু আকন্দের ওপর বর্বরোচিত হামলাকারী সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জামালপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর দুপুরে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এ স্মারকলিপি পেশ করেন।

সাংবাদিক শেলু আকন্দের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় দায়ের করা মামলার সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ছয়দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য ২২ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা জমায়েত হন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান।

সকল আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি ছাড়াও মামলার অন্যতম আসামি হাসানুজ্জামান খান রুনুকে তার পৌর কাউন্সিলরের পদ থেকে অব্যাহতি, তার স্ট্যাম্প ভেণ্ডার সনদ বাতিল, ভুয়া জমা-খারিজ মূলে দলিল করা ও তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে ।

স্মারকলিপি গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন। ছবি : মাহমুদুল হাসান মুক্তা

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক স্মারকলিপির দাবিগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

পরে একই দাবিতে পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সাংবাদিক শেলু আকন্দের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক। এ মামলার একজন আসামি পৌর কাউন্সিলরের ছেলে রাকিবুল ইসলাম খান রাকিবকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির আসামি পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও পুলিশ সুপার আশ্বস্ত করেন।

প্রসঙ্গত, জামালপুরের স্থানীয় দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সাংবাদিক ও জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্য শেলু আকন্দ ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের পেছনে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বাইপাস সড়কে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে তার দুটি পা ভেঙে দিয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।