পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস, উপবৃত্তির দাবিতে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে মানববন্ধন

পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস ও উপবৃত্তির দাবিতে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুরে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস ও উপবৃত্তির দাবিতে ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। ১৮ ডিসেম্বর সকালে জামালপুর সদর হাসপাতালের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এসব দাবিতে লাগাতার ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা সকল ক্লাস বর্জন করে জামালপুর সদর হাসপাতালের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান আন্দোলন কর্মসূচির আয়োজন করে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে তাদের কর্মসূচি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ফখরুল আবেদীন, শুভ আহমেদ, রায়হান উদ্দিন, নাহিদ হাসান, জেসমিন সুলতানা, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ, আহসান হাবিব, আশিকুর রহমান, জহুরা খাতুন, আলিফ হাসান, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিন আহমেদ প্রমুখ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, জামালপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক কয়েকটি ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ২০১৪ সালে এই কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছরেও কলেজটি পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত করতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ন্যূনতম পরিবেশ না থাকায় পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নেই ভালো শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষার্থীদের মিলনায়তন, লাইব্রেরি এবং শিক্ষকদের বসার জায়গা।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, এই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জনবল ও খাওয়া-দাওয়ার ভালো কোন ব্যবস্থা নেই। পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় শৌচাগার থেকে শুরু করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সব কাজ শিক্ষার্থীদেরকেই করতে হয়। নানা অব্যবস্থাপনার কারণে গত পাঁচ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়াও বন্ধ রয়েছে। এসব দাবি না মানা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্র্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক চিকিৎসক এ এফ এম সালেহ বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘জামালপুর শহরের মনিরাজপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সেই পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসে কলেজটি স্থানান্তরিত হলে তখন হয়তো শিক্ষার্থীদের আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তবে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে যেসব সমস্যা তুলে ধরেছে সেগুলো সমাধানে চেষ্টা করা হবে।’

উপবৃত্তি বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। উপবৃত্তি বন্ধ থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি যাতে চালু হয় এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।’