জামালপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ১০ দফা দাবিতে সভা

সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরসহ সারাদেশে চলমান নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ১০ দফা দাবিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে আস্থা প্রকল্পের সমন্বয় সভা ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম।

জামালপুর কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শামীমা খান, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন এনএসভিসি প্রকল্পের জেন্ডার বিশেষজ্ঞ রুমা ইয়াসমিন, গণচেতনার সমন্বয়কারী ফাতেমা নার্গিস, ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি অপূর্ব চক্রবর্তী, আসাদ খান, বেইস এর জেলা প্রতিনিধি এনামুল হক খান, সিডব্লিওএফডি এর ব্যবস্থাপক হাফিজা আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আস্থা প্রকল্পের সমন্বয়কারী সাবিনা ইয়াসমিন।

আলোচনায় জেলা প্রশাসনের কাছে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১০ দফা দাবিগুলো হলো- ইউনিয়ন পরিষদে স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের কমিটিগুলোকে কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে গঠিত কমিটিগুলোকে কার্যকর করা, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে অ্যাসেমব্লির সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যৌন হয়রানি, শিশু পাচার ও বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত বক্তৃতা প্রদান এবং প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের কাছে মোবাইল ও ব্যাগে বাড়তি পোশাক পাওয়া গেলে অভিভাবকদের ডেকে এনে পরামর্শমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রত্যেক মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবার আগে নারী শিশু পাচার, বাল্যবিয়ে, নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, মাদকসহ সামাজিক বিভিন্ন ব্যাধি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা, বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, শিশু-কিশোর সংগঠনগুলোকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া ও সাহিত্যচর্চা করতে প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে উৎসাহিত করা, খেলার মাঠগুলো থেকে সকল প্রকার স্থাপনা উচ্ছেদ করা, গোচারণ বন্ধ করা, পুকুর ভরাট না করে সেখানে মৎস্যচাষের পাশাপাশি সাঁতার শিখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে মাতৃদুগ্ধ পান করার কেন্দ্র স্থাপন করা এবং নারীদের জন্য আলাদা ওয়াশ রুমের ব্যবস্থা করা, প্রত্যেক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের গোপনীয়তা রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।