জামালপুরে নার্সিংয়ের দুই ছাত্রী লাঞ্ছিত, তিন কর্মচারীকে সাময়িক অব্যাহতি

জামালপুর সদর হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগের সামনে নার্সিংছাত্রীদের বিক্ষোভ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের দুই ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে জামালপুর সদর হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. মোবারক হোসেনসহ তিনজনকে তাদের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৩ আগস্ট সকালে হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগে নিজেদের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে গিয়ে তানজিনা আক্তার ও আমেনা আক্তার কেয়া নামের দুই ছাত্রী সেখানে লাঞ্ছিত হন।

৪ আগস্ট দুপুরে জামালপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের ছাত্রীরা ওই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফার্মেসি বিভাগ ঘেরাও শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এ সময় সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই তিনজন কর্মচারীকে তাদের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি এবং ঘটনাটি তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দিলে আন্দোলরত ছাত্রীরা ওয়ার্ডে এবং তাদের ক্লাসে ফিরে যায়। নার্সিংয়ের ছাত্রীদের আন্দোলনের কারণে হাসপাতালের সবগুলো ওয়ার্ডে টানা প্রায় তিন ঘন্টা চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।

জামালপুর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক প্রফুল্ল কুমার সাহা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. মোবারক হোসেন, পিয়ন মাজহারুল ইসলাম মনির ও শ্যামলকে তিনদিনের জন্য তাদের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।