ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, বানভাসিদের শুকনো খাবারের দাবি

ইসলামপুরে বন্যার পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে ঘরবাড়ি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৯ জুলাই হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১৬৪ সেন্টিমিটার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢলের পানি এবং টানা বর্ষণে সৃষ্টি বন্যায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ও পৌরসভার কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

বন্যার পানিতে রেলপথ ডুবে যাওয়ায় ইসলামপুর ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রেল লাইনসহ বেশ কয়েকটি হাট-বাজার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

চিনাডুলী ইউনিয়নে বামনা সড়কে পাঁচশতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রতিদিনের মত ১৮ জুলাই খিচুরি না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা চাউলের পরিবর্তে প্রতিনিয়তই শুকনো খাবারের দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার পানিবন্দি মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারাও প্রতি নিয়তই চালের শুকনো খাবারের পাশাপাশি গো-খাদ্যের দাবি জানিয়েছে। কবলিতরা জানান, চাল পেলে কি হবে উনুন জ্বালানোর মত জায়গা না থাকায় সমস্যা প্রতি নিয়তই ভোগ করতে হচ্ছে।

বন্যা কবলিত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। ইসলামপুর উপজেলায় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল ও সংসদ সদস্য হোসনে আরা বেগম এবং জেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ এবং বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, খোরশেদ আলম বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।