মাদারগঞ্জে ভন্ডপীর কারাগারে, কথিত মাজার উচ্ছেদ

মাদারগঞ্জে ভন্ডপীরের কথিত মাজারটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় মোহাম্মদ আলী (৪০) নামের নামের একজন ভন্ডপীরের কথিত মাজারসহ পুরো আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নির্বাহী হাকিম ও মাদারগঞ্জের ইউএনও মো. আমিনুল ইসলাম। ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে মাদারগঞ্জ পৌরসভার চাঁদপুর গ্রামে তিনি এ অভিযান চালান। আটক ভন্ডপীরকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে ৩০ এপ্রিল তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, মাদারগঞ্জ পৌরসভার চাঁদপুর এলাকার মৃত মো. সোজা পাগলার ছেলে মোহাম্মদ আলী গত পহেলা বৈশাখ থেকে তার বাবার কবরের ওপর ইট-সিমেন্টের গাঁথুনির ওপর কাঠের মাচা তৈরি করেন। ওই মাচাসহ পুরো কবরটি লালসালু কাপড় দিয়ে ঢেকে এবং ওপরে সামিয়ানা ও নিশান টানিয়ে সেটাকে মাজার বলে এলাকায় প্রচারণা চালান। একই সাথে নিজেকে ওই মাজারের স্বঘোষিত পীর হিসেবে পরিচয় দেন। ক্রমেই সেখানে তার ভক্ত ও অনুসারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে মোহাম্মদ আলী ও তার কথিত মাজারটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভন্ডপীর মোহাম্মদ আলীকে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও সেখানে মাজারের নামে প্রতারণামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকে। এক পর্যায়ে মাদারগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে মাদারগঞ্জ থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ভন্ডপীরের সেই কথিত মাজারে অভিযান চালান। এ সময় পন্ডপীর মোহাম্মদ আলীকে আটক এবং তার তৈরি কথিত মাজারসহ পুরো আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

৩০ এপ্রিল সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জনউপদ্রব আইনের ২৯১ ধারায় ভন্ডপীর মোহাম্মদ আলীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ইউএনও। গতকালই তাকে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম ১ মে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘চাঁদপুর গ্রামে ভন্ডপীরের প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে ভন্ডপীর মোহাম্মদ আলীকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি কথিত মাজারকে পুঁজি করে লোকজনদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। জনউপদ্রব আইনে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’