সরিষাবাড়ী ক্যাবল নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে

সমঝোতা বৈঠকে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার মেয়র মো. রুকুনুজ্জামান রুকন। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর প্রতিনিধি), বাংলারচিঠি ডটকম : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ক্যাবল নেটওয়ার্ক মালিকদের কাছে পৌরকর বকেয়ার কারণে ৪৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের চালু হলো ক্যাবল নেটওয়ার্ক। ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলামের আহবানে এক জরুরি সভায় পৌর মেয়র ও ক্যাবল নেটওয়ার্ক মালিকদের সমঝোতার পর ক্যাবল নেটওয়ার্ক ফের চালু হয়েছে।

সরিষাবাড়ী পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত সরকারি গেজেট অনুযায়ী টিভি ক্যাবল গ্রাহকদের কাছ থেকে বার্ষিক শতকরা ১০ টাকা হারে পৌরকর আদায়ের বিধান রয়েছে। কিন্তু সরিষাবাড়ীতে ক্যাবল নেটওয়ার্ক মালিকরা এ বিধান মেনে নিতে রাজি না। পৌর কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে বহুবার নোটিশ দিয়ে তাগাদা ও সতর্ক করা হয়েছে। ফলে বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ১৩ হাজার গ্রাহকের বকেয়া পৌরকরের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ টাকায়। বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিয়ন্ত্রণকক্ষের যাবতীয় মালামাল জব্দ করা হয়েছিল।

এদিকে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যাবসায়ীরা এত প্রতিবাদে জেলা ও উপজেলাতে পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে ক্যাবল নেটওয়ার্ক চালু করে দিতে জোর দাবি জানায়। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসানের নজরে আসে। প্রতিমন্ত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দু পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন।

সমঝোতা বৈঠকে কোয়াবের নেতৃবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

এ ব্যাপারে কোয়াবের জেলা শাখার আহবায়ক আবুদল হক তরফদার জানান, সকল নিয়ম মেনে আমরা ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা করে আসছি। বাংলাদেশের কোথাও এই ১০ টাকা হারে বার্ষিক কর দেয় না। কিন্তু পৌরসভা কেনো আমাদের কাছ থেকে এই কর দাবি করেন। আমরা মালিকরা এক মাসের সময় নিয়েছি এর মধ্যে তথ্য মন্ত্রনালয়ে খোঁজ খবর নিয়ে এর একটা সমাধান করবো।

সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন সভায় বলেন, সরকারি নিয়মেই তাদের কাছে কর ধার্য করা হয়েছে। এখানে ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু করা হয়নি। যেহেতু ক্যাবল নেটওয়ার্ক মালিকরা ১ মাসের সময় নিয়েছে এর একটি সমাধান তারা করবে। তাই ক্যাবল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ক্যাবল গ্রাহকদের বিষয়টি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আমাকে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিতে বলেছেন। তাই দু’পক্ষকে ডেকে এক মাসের মধ্যেই তাদের বিষয়টি যাতে সমাধান করতে পারে সেই বিষয় নিয়ে একটি জরুরি সভা করা হয়। বন্ধ থাকা ক্যাবল নেটওয়ার্ক চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়।