অধ্যাপক আশরাফ তরফদার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী

অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন তরফদার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জামালপুরের প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন তরফদার আসছে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। জেলায় সর্বস্তরের মানুষের প্রিয়মুখ এই নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন আদায়ে ইতিমধ্যে প্রচারণা ও জনসংযোগসহ দলীয় লবিং করে আসছেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক যোগ্যতার মাপকাঠিতে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ তাকেই এবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।

জানা গেছে, আসছে মার্চ মাসে কয়েক ধাপে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। জামালপুর পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ। আসছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের সাথে কুশল ও মতবিনিময় করছেন। দলীয় প্রতীকে এবার উপজেলা নির্বাচন হওয়ার খবরে নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। তাদেরই একজন হলেন অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন তরফদার।

জামালপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিচিতমুখ অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন তরফদার জামালপুরের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ নান্দিনা শেখ আনোয়ার হোসেন কলেজে দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তার দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যেই কলেজটিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ লেখাপড়ার মান উন্নয়ন ঘটে। ফলে জামালপুর পৌরসভাসহ ও প্রতিটি ইউনিয়নেরই ছড়িয়ে রয়েছে তার সুনাম। ওই কলেজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন নেতা হিসেবে জামালপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বেগবান করতে নিজেকে সক্রিয় ভূমিকায় রেখে আসছেন।

অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন তরফদার সম্প্রতি ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দীর্ঘ ৪১ বছরের শিক্ষকতা পেশায় ইতি টেনেছেন। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন। তিনি বাকশাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরবর্তীতে জামালপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিগত দুই মেয়াদের জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তিনি জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘ দিন ধরে কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত রয়েছেন। বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির জামালপুর শাখার সাথে তিনি শুরু থেকেই জড়িত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি এই সমিতির জামালপুর শাখার একজন আজীবন সদস্য এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরিরও একজন আজীবন সদস্য। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জামালপুর ইউনিটের সাথে টানা ১৪ বছর ধরে আর্তমানবতার সেবায় জড়িত রয়েছেন। রেডক্রিসেন্টের তিনি একজন আজীবন সদস্য এবং বর্তমানে এই জেলা ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

কেন জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হতে চান, মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে কতটুকু আশাবাদী এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি রয়েছে, এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন তরফদার বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিবেদিত হয়ে কাজ করে আসছি। শিক্ষকতা পেশার দীর্ঘ ৪১ বছরে আমি নান্দিনা কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি, যা এর আগে সম্ভব হয়নি। জামালপুর এফপিএবির উন্নয়নে বেশ দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার ব্যক্তিগত কোনো লোভ লালসা নেই। মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমার প্রাণপ্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতিকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রতিটি গ্রাম হবে শহর’ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চাই। দলের একজন নিবেদিত রাজনীতিক হিসেবে আমি এই পদে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেওয়া হলে দলের তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।

অধ্যাপক মো. আশরাফ হোসেন তরফদার বলেন, আমি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়ন এবং সমাজ থেকে মাদক নির্মূল, বাল্যবিয়ে রোধ, গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক মর্যাদার উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে দুর্নীতিমুক্ত সচেতন সমাজ গঠনের পাশাপাশি বর্তমান সরকারের সকল প্রকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে সততার সাথে দায়িত্ব পালনে করে যাবো। আমি সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।