ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল গঠনমূলক সম্পর্ক চায় : ভার্মা দেওয়ানগঞ্জে লাভজনক হয়ে উঠেছে পানিফল চাষ জিলবাংলা সুগার মিল : বেড়েছে আখের উৎপাদন, বাড়বে চিনি উৎপাদনও জামালপুর পৌরসভায় স্যানিটেশন উপ-আইন প্রণয়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ডিগ্রিরচর বাজারে নির্মিত হচ্ছে শেডঘর, ব্যয় হবে ৭০ লাখ টাকা প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় জামালপুর ডিসির অঙ্গীকার খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ : সভাপতি এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিদ্যোৎসাহী কাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নেই শান্ত-মুশফিক-হৃদয়, এক বছর পর দলে ফিরলেন আফিফ ব্রিকসকে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতীককে সম্মাননা প্রদান

অনুষ্ঠানে সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতীককে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

অনুষ্ঠানে সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতীককে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

মুক্তিযুদ্ধে বিরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতীককে সম্মাননা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভালোবাসি জামালপুর। ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সংগঠনটির মুক্তির রং নামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এনটিভির সাংবাদিক শফিক জামান প্রমুখ।

মুক্তির রং আয়োজনে সম্মাননা ছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনলাইন কুইজ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলালের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ গ্রামে। তার বাবার নাম সৈয়দ বদরুজ্জামান। মা সৈয়দা খোদেজা জামান। স্ত্রী সৈয়দা সাহানা জামান। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল ১৯৭১ সালে কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। মা-বাবার অনুমতি নিয়েই তিনি মুক্তিযুদ্ধে যান। ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরের মহেন্দ্রগঞ্জ সাব সেক্টরের একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কামালপুরসহ আরও কয়েক স্থানের যুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নেন। তিনি ও তার দলের মুক্তিযোদ্ধারা যথেষ্ট সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করেন। তার দলের বেশ কয়েকজন সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য খেতাব পান। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের জন্য সৈয়দ সদরুজ্জামানকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা

সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতীককে সম্মাননা প্রদান

আপডেট সময় ০৮:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
অনুষ্ঠানে সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতীককে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

মুক্তিযুদ্ধে বিরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল বীরপ্রতীককে সম্মাননা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভালোবাসি জামালপুর। ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সংগঠনটির মুক্তির রং নামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এনটিভির সাংবাদিক শফিক জামান প্রমুখ।

মুক্তির রং আয়োজনে সম্মাননা ছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনলাইন কুইজ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলালের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ গ্রামে। তার বাবার নাম সৈয়দ বদরুজ্জামান। মা সৈয়দা খোদেজা জামান। স্ত্রী সৈয়দা সাহানা জামান। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল ১৯৭১ সালে কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। মা-বাবার অনুমতি নিয়েই তিনি মুক্তিযুদ্ধে যান। ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরের মহেন্দ্রগঞ্জ সাব সেক্টরের একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কামালপুরসহ আরও কয়েক স্থানের যুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নেন। তিনি ও তার দলের মুক্তিযোদ্ধারা যথেষ্ট সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করেন। তার দলের বেশ কয়েকজন সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য খেতাব পান। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের জন্য সৈয়দ সদরুজ্জামানকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।