তিতপল্লা ইউপি ভবনে হামলা, ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর, বাংলারচিঠি ডটকম

প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাটিভরাট কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপর আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৪ অক্টোবর জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে। একটি পক্ষ তিতপল্লা ইউপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এ নিয়ে সেখানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নে ৫০০ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাটিভরাট কাজ চলমান রয়েছে। ওই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে ১৪ অক্টোবর তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদের সমর্থকরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের স্থানীয় জামতলী মোড়ে মহড়া দেয়।

ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপক্ষের মহড়ার সময় জামতলী মোড়ে রাস্তার দুই পাশের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশি তৎপরতায় পরে দুই পক্ষ সরে গেলেও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের সমর্থকরা ফিরে গিয়ে তিতপল্লা ইউপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষ ভাংচুর করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

তিতপল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ বাংলারচিঠি ডটকমকে জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা না পেয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের নির্দেশে ১৪ অক্টোবর অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘেরাও করার কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই প্রকল্পের কাজ কোনো অবস্থাতেই বন্ধ করা যাবে না। তাই এর প্রতিবাদে জামালপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দের নেতৃত্বে চারটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু পরে তারা তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে হামলা করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ বাংলারচিঠি ডটকম জানান, আওয়ামী লীগনেতা বিজন কুমার চন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাটিভরাট কাজে চাঁদাবাজি ও অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের ঠকানোর প্রতিবাদে মিছিল বের করা হয়েছিল। তবে ইউপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ইউপি কার্যালয়ে ভাংচুর প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকম বলেন, তিতপল্লা ইউপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।