ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শেরপুরে শেষ হলো ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্তদের ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব সরিষাবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২ ইসলামপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একজনকে সাতদিনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে প্রয়াত যুবদলনেতা বুলবুলের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত ৯ ঘন্টা পর অপহৃতা বন্যাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার ঐতিহ্য বিএনপি ও শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় দুই নেতার সুস্থতা কামনায় জামালপুরে দোয়া মাহফিল জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিসিকে স্মারকলিপি

ধর্ষক যখন বোনের ছেলের শ্বশুড়, ঘটনাস্থল শরিফপুর

ছবিটি প্রতীকী

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
পনের বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে। তার বাবা একজন দিনমজুর। জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের ঢেঙ্গারগড় গ্রামে তার বড়বোনের ছেলের শ্বশুড় মো. আনোয়ার হোসেন তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপীনাথপুরের ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। ওই কিশোরী ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢেঙ্গারগড়ে বেড়াতে যায়। ওইদিন রাতেই মো. আনোয়ার হোসেন তার ঘরে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে ছুটে বের হয় সে। আশ্রয় নেয় প্রতিবেশী খলিলুর রহমানের বাড়িতে। পরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালীচক্র ওই কিশোরীকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখে থানা পুলিশ করতে ভয় দেখায়। তারা আপসরফারও প্রস্তাব দেন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা ধর্ষক আনোয়ার হোসেনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। ওই কিশোরী মারা গেছে বলেও এলাকায় গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভয়ে আনোয়ার হোসেন গা ঢাকা দিয়েছেন।

এক পর্যায়ে ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় অন্য একটি পক্ষ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সদর থানায় পাঠায়। ওই কিশোরী পুলিশের কাছে তাকে ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত বলে দেয়। পরে তার সহোদর বড়বোন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই কিশোরীর বড়বোনের ছেলের শ্বশুড় আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি হয়েছে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায়।

‘ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’ বললেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল হক। মামলাটির আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানালেন।

আপলোডকারীর তথ্য

শেরপুরে শেষ হলো ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্তদের ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব

ধর্ষক যখন বোনের ছেলের শ্বশুড়, ঘটনাস্থল শরিফপুর

আপডেট সময় ০৭:০০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
পনের বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে। তার বাবা একজন দিনমজুর। জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের ঢেঙ্গারগড় গ্রামে তার বড়বোনের ছেলের শ্বশুড় মো. আনোয়ার হোসেন তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপীনাথপুরের ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। ওই কিশোরী ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢেঙ্গারগড়ে বেড়াতে যায়। ওইদিন রাতেই মো. আনোয়ার হোসেন তার ঘরে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে ছুটে বের হয় সে। আশ্রয় নেয় প্রতিবেশী খলিলুর রহমানের বাড়িতে। পরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালীচক্র ওই কিশোরীকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখে থানা পুলিশ করতে ভয় দেখায়। তারা আপসরফারও প্রস্তাব দেন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা ধর্ষক আনোয়ার হোসেনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। ওই কিশোরী মারা গেছে বলেও এলাকায় গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভয়ে আনোয়ার হোসেন গা ঢাকা দিয়েছেন।

এক পর্যায়ে ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় অন্য একটি পক্ষ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে সদর থানায় পাঠায়। ওই কিশোরী পুলিশের কাছে তাকে ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত বলে দেয়। পরে তার সহোদর বড়বোন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই কিশোরীর বড়বোনের ছেলের শ্বশুড় আনোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি হয়েছে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায়।

‘ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’ বললেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল হক। মামলাটির আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানালেন।