একনেকে জামালপুরের আট পৌরসভায় প্রায় ৬১৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুর জেলার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকে জামালপুরের আটটি পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৬১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শেরে বাংলানগরে একনেকের সভার সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, এই প্রকল্পটির অনুমোদন হওয়ায় জামালপুর জেলার জামালপুর, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও হাজরাবাড়ী পৌরসভার বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। আটটি পৌরসভার জন্য মোট বরাদ্দের মধ্যে জামালপুর পৌরসভার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেকের সভায় জামালপুরের আটটি পৌরসভার জন্য প্রায় ৬১৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, জামালপুর জেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্পটি জামালপুর জেলাকে একটি উন্নত জেলায় রূপান্তরের কাজকে আরো ত্বরান্বিত করবে। জামালপুরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিই এখন জামালপুরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালপুরকে তার নিজ জেলা হিসেবে মনে করে এ জেলার উন্নয়নের একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েই যাচ্ছেন। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি আসনে নৌকা প্রতীকের সদস্য উপহার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর আসনেই আমরা দেখতে চাই। এ ক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ জামালপুর জেলার সাধারণ ভোটার জনতার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রকল্পটির অনুমোদন পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি।

মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জামালপুর পৌরসভার দেড়শ’ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন জামালপুর পৌরসভাসহ জেলার আটটি পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি দেন। তারই ফলশ্রুতিতে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৬১৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। জামালপুরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর এই সদয় দৃষ্টিতে আমরা খুব খুশি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জামালপুর পৌরসভাসহ জেলার আটটি পৌরসভার ভৌত অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নত করার মধ্য দিয়ে নাগরিকসেবার মান বাড়ানো যাবে বলে মনে করি। প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি।

এদিকে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজুর রহমান ডল এক বিবৃতিতে জামালপুরের আটটি পৌরসভার জন্য প্রায় ৬১৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে ৬৪টি জেলার মধ্যে ১০টি উন্নত জেলার তালিকায় জামালপুর জেলাকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে জামালপুর জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বেশ কয়েকটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দুটি ইপিজেড, তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, কামালপুর স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন, তিনটি বাইপাস সড়ক নির্মাণসহ সারা জেলায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। সর্বশেষ একনেকে অনুমোদন পেয়েছে ‘ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট প্রকল্প’। এই ইনস্টিটিউট স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কোনো প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিমাসেই যুক্ত হচ্ছে আরও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প।