মেলান্দহে যুবদলনেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদা দাবি, থানায় মামলা

মাহামুদুল হাসান মুক্তা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান আক্তারের নেতৃত্বে স্থানীয় একটি কনফেকশনারি ব্যবসায়ীর কাছে ২৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কনফেকশনারির মালামাল ভাংচুরসহ হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটেছে।

৪ মে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার জিন্নাহ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসানের কনফেকশনারির দোকানে এ চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আদিপৈত গ্রামের মো. আনছারুল আলমের ছেলে ঠিকাদার মাহমুদুল হাসানের মেলান্দহ বাজারে জিন্নাহ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কনফেকশনারির দোকান রয়েছে। ৪ মে রাতে একই উপজেলার মলিকাডাংগা গ্রামের মো. তালেব ডিলারের ছেলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামান আক্তারের নেতৃত্বে তাপস, বাবুল, জুয়েল, নাজমুলসহ আরো চার-পাঁচজন মাহমুদুল হাসানের কনফেকশনারিতে গিয়ে ২৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ঠিকাদার মাহমুদুল হাসান ব্যবসায়ী কাজে চট্টগ্রাম থাকায় কনফেকশনারিতে থাকা কর্মচারী ফরহাদ হোসেন উজ্জল, রাকিবুল ইসলাম রাজন ও অমর কুমার সাহা দোকানঘর দেখাশোনা করে। এ সময় যুবদল নেতা আক্তারুজ্জামান আক্তারের নেতৃত্বে চাঁদা দাবি করলে তারা চাঁদা দিতে রাজি হননি। এতে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। এছাড়া কনফেকশনারিতে থাকা কম্পিউটার, স্ক্যানার মেশিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করে তারা। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। পরে তারা চলে যাওয়ার সময় ২৮ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় হামলাকারী চাঁদাবাজরা। এ ঘটনায় মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, যুবদল নেতা আক্তার আমাকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। তাদের চাওয়া টাকা না দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, কনফেকশনারির দোকান ভাংচুর, চাঁদা দাবির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।