ইসলামপুরে দশানী থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

গাইবান্ধায় দশানী নদীতে নিখোঁজ শিশুর অনুসন্ধানে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস। ছবি : সাহিদুর রহমান

সাহিদুর রহমান, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় দশানী নদীতে ডুবে নিখোঁজের একদিন পর ১৫ জানুয়ারি দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা আছাদুজ্জামান নামের ছয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে। মৃত ওই শিশু উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের ফুলকারচর গ্রামের বাবুল শেখের ছেলে। ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় চন্দনপুরে দশানী নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছিল শিশুটি।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুল শেখের ছেলে শিশু আছাদুজ্জামান ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে তার নানার সাথে গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে দশানী নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা ইসলামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা রাতেই স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে শিশুটির কোনো সন্ধান পায়নি।

১৫ জানুয়ারি সকালে জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একজন ডুবুরিসহ চার সদস্যের একটি উদ্ধার দল নিয়ে দলনেতা মোনায়েম হোসেন ঘটনাস্থল দশানী নদীতে শিশুটির অনুসন্ধানে নামেন। ইসলামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল গণির নেতৃত্বে সেখান থেকেও একটি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে ১৫ জানুয়ারি বেলা পৌনে দুটার দিকে ঘটনাস্থলের কাছেই ১০০ ফুট পানির গভীর থেকে শিশু আসাদুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মাকছুদুর রহমান আনছারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শিশুটির মরদেহ তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গাইবান্ধায় দশানী নদীতে নিখোঁজ শিশুর উদ্ধার অভিযান দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতার ভিড়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

ছয় বছরের একটি শিশু পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত উৎসুক মানুষ দশানী নদীর পাড়ে ভিড় জমান।

ইসলামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল গণি বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ডুবুরিসহ ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য উদ্ধারকর্মীরা প্রায় চার ঘন্টা সময় ধরে দশানী নদীতে অনুসন্ধান চালায়। এক পর্যায়ে বেলা পৌনে দুটার দিকে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।