জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের সমর্থনে পশ্চিম ইসলামপুরবাসীর ঐক্যের বার্তা

ইসলামপুরে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদকে বিজয়ী করতে পশ্চিম ইসলামপুরের সাতটি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনতা ঐক্যের বার্তা দিয়েছে। ২০ ডিসেম্বর বিকেলে ইসলামপুরের গুঠাইল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত জাতীয় পার্টির নির্বাচনী জনসভায় এ আভাস পাওয়া গেছে।

জনসভায় পশ্চিম ইসলামপুরের সাতটি ইউনিয়ন ছাড়াও পূর্ব ইসলামপুরের চারটি ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটার জনতা এ জনসভায় যোগ দেন। হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবারের নির্বাচনে পশ্চিম ইসলামপুরের মানুষ লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার নিবেদন জানান।

ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির এই নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ চমক ছিলেন বিএনপিনেতা মশিউর রহমান বাদল। ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান বাদল আজ পাঁচ শতাধিক তার সমর্থক বিএনপিনেতাকর্মী, এলাকার ছাত্র ও যুবক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মিছিল নিয়ে এ জনসভায় যোগ দেন। তিনি তার বক্তব্যে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন পশ্চিম ইসলামপুরসহ গোটা ইসলামপুরের উন্নয়নে প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মশিউর রহমান বাদল বলেন, পশ্চিম ইসলামপুরের মানুষ আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই। এই প্রথম দেখলাম জনসভায় এতো মহিলারা এসেছেন। আমরা এই পশ্চিম ইসলামপুরের মানুষেরাই আওয়ামী লীগের ফরিদুল হক খানকে এমপি বানাইছিলাম। এখন আমরা মোস্তফা আল মাহমুদকে এমপি বানাতে চাই। আমরা যদি পশ্চিম এলাকার মানুষকে এমপি বানাতে চাই, ওই সমস্ত নেতারা আগুনে বেগুনে জ্বলে কেন?

বিএনপিনেতা মশিউর রহমান বাদল সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেন, অনেকেই বলছেন ২৪ তারিখের পরেই মোস্তফা আল মাহমুদ বাদ পড়বে। আমি তাদের উদ্দেশে বলে যেতে চাই, ২৪ তারিখের পরে মোস্তফা আল মাহমুদ বাদ পড়লেও পশ্চিম ইসলামপুরের মানুষ বাদ পড়বে না। তারা মনে করছিল লাঙলের পক্ষে মানুষই নাই। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে আজকে প্রমাণ হয়ে গেছে পশ্চিম ইসলামপুরের মানুষ কি চায়। কাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। আমরা পশ্চিম ইসলামপুরের মাটিকে ভোট দিতে চাই। আমরা পশ্চিম ইসলামপুরের মানুষকে ভোট দিয়ে এমপি বানাতে চাই। আপনরা সবাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাঙলের জন্য ভোট চাবেন।

বক্তব্য শেষ করার আগে বিএনপিনেতা মশিউর রহমান বাদল জনসভায় আসা হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশে লাঙল প্রতীকের স্লোগান ধরেন।

জনসভার প্রধান অতিথি এ আসনের লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেন, আজকে আপনারা ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই জনসভায় যোগ দিয়ে আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা আমি মনে রাখবো। আমি আপনাদের সুখে দুখে পাশে থাকতে চাই। এই ঋণ আমি নিজের রক্ত বিক্রি করেও পরিশোধ করতে পারবো না। আপনারা মনে রাখবেন লাঙলের বিজয় মানেই পশ্চিম ইসলামপুরের বিজয়। লাঙলের গণজোয়ার দেখে সাধারণ ভোটারদের মাঝে নানা গুজব ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। গুজব ছড়িয়ে লাঙলের গণজোয়ার রোধ করা যাবে না।

মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, আমি বজয়ী হলে পশ্চিম ইসলামপুরে মানুষের প্রধান সমস্যা বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এ আসনের নানা সমস্যা দূরীকরণে কাজ করবো। কর্মসংস্থান বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরি ব্যবস্থা করে দিবো। এ অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প অঞ্চল স্থাপন করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করে দিবো। যাতে করে আপনারা ভালো চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন। একটি করে খেলার মাঠ তৈরি করে দেওয়া হবে। প্রতিটি রাস্তা পাকা করা হবে। যাতে আপনারা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারেন। শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করাসহ অবহেলিত এই ইসলামপুরকে একটি আধুনিক শহরে রূপান্তর করে দিবো।

প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদবলেন, আমি এই ইসলামপুরে চীনের অ্যাম্বেসেডরকে এনেছিলাম। এরকম আরো অ্যাম্বেসেড রাষ্ট্রদূত আসলে আমরা বিদেশী অনুদান সাহায্য আনতে পারবো। যাতে করে ইসলামপুরের উন্নয়নে আমরা সার্বিক ভূমিকা রাখতে পারি। আপনাদের জন্য যা যা করা দরকার আমি করবো। আপনারা সবাই ৩০ ডিসেম্বর সকালে ভোট দিতে যাবেন। সবাই লাঙল প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।