ব্রহ্মপুত্রে নিখোঁজের ১৩ দিন পর ভেসে উঠলো শিশু প্রভাতীর লাশ

নৌকায় প্রভাতীর লাশ দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে নিখোঁজের ১৩ দিন পর শিশু প্রভাতী আক্তারের (১৩) অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। ৯ আগস্ট সকাল নয়টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছেই তার লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে তার স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে বাড়িতে নিয়ে দাফন করেন। ২৮ জুলাই দুপুর একটার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে প্রভাতী নিখোঁজ হয়েছিল।

জানা গেছে, প্রভাতী আক্তার জামালপুর পৌরসভার ছনকান্দা গ্রামের রুহুল আমিন রুকনের মেয়ে। সে শহরের শাহীন স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়তো। প্রভাতী সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে তার বড় ভাই তানভীর হাসানের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ২৮ জুলাই বেলা একটার দিকে সে তার ভাবী অর্পিতার সাথে স্থানীয় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। ঘটনার পর থেকে জামালপুর ও ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও উদ্ধারকর্মীরা টানা দুইদিন অনুসন্ধান চালিয়েও তার কোনো খোঁজ পায়নি।

এদিকে ৯ আগস্ট সকাল নয়টার দিকে ঘটনাস্থল লক্ষ্মীরচরের পালাপাড়া এলাকায় এক শিশুর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা প্রভাতীর স্বজনদের খবর দেয়। খবর পেয়ে নিখোঁজ প্রভাতীর শোকার্ত বাবা রুহুল আমিন রুকন ও অন্যান্য স্বজনরা পালপাড়ায় গিয়ে লাশটি প্রভাতীর বলে শনাক্ত করেন। প্রভাতীর শরীরে বিভিন্ন অংশ পঁচে গেছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ১৩ দিন পর শিশুটির লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত উৎসুক মানুষ সেখানে ভিড় করেন। পরে স্বজনরা প্রভাতীর লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফন করেন।

লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বিদ্যুৎ বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘অর্ধগলিত অবস্থায় শিশু প্রভাতীর লাশ ভেসে উঠার খবর পেয়ে পালপাড়া ঘাটে গিয়ে দেখি শিশুটির সারা শরীর পঁচে গেছে। শিশুটির বাবা ও অন্যান্য স্বজনরা লাশটি বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছে।’