মেলান্দহে হচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম

আজিজুর রহমান ডল, জামালপুর ॥
জামালপুর জেলার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার জামালপুর জেলাবাসী পেতে যাচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট। রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় সারা দেশের জন্য ৬ হাজার ৪৪৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্প হলো জামালপুরের ‘ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট প্রকল্প’। এই ইনস্টিটিউট স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন এই ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউটটি স্থাপিত হতে যাচ্ছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের শীহাটা গ্রামে জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়কের পাশে ৮ একর জায়গাজুড়ে। অর্থনীতিতে বিশ্বজুড়েই ফ্যাশন ডিজাইনের কদর দিন দিন বাড়ছে। সেই লক্ষ্য নিয়েই স্থাপিত হচ্ছে যাচ্ছে এই ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউটটি। এই প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদি ফ্যাশন ডিজাইন ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হবে। শুধু জামালপুরের শিক্ষার্থীরাই নয়। সারা দেশের এমনকি বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে। এই ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান জামালপুর জেলাকেও দেশে-বিদেশে পরিচিত করে তুলবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেকের সভায় জামালপুর জেলাবাসীর জন্য একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় জামালপুরের উন্নয়নের রূপকার মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনের চারবার নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম একনেকের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, ‘জামালপুর জেলাকে সারাদেশের মধ্যে একটি উন্নত জেলায় রূপান্তরের পেছনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানই সবচেয়ে বেশি। উনি আমাদের দিয়েই আসছেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আজকে জামালপুর জেলার নাম উঠে আসছে। এসব উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার মধ্য দিয়েই জামালপুর জেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে থাকবে।’

উল্লেখ্য, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে ৬৪টি জেলার মধ্যে ১০টি উন্নত জেলার তালিকায় জামালপুর জেলাকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে জামালপুর জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বেশ কয়েকটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দুটি ইপিজেড, তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, কামালপুর স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন, তিনটি বাইপাস সড়ক নির্মাণসহ সারা জেলায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কোনো প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিমাসেই যুক্ত হচ্ছে আরও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প।