আদর্শ বীজতলা তৈরিতে ঝুঁকছেন নকলার কৃষকরা
শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
শেরপুরের নকলা উপজেলায় আদর্শ বীজতলা বীজ খরচ সাশ্রয় করেছে ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। তাই ধান চাষিরা আদর্শ বীজতলার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন এবং দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে এ এলাকার কৃষকের। এদিকে উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে আদর্শ বীজতলা তৈরি করতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আদর্শ বীজতলার ওপরে কোন বাড়তি পানি জমা হতে পারে না। প্রতিটি চারা সমানভাবে আলো, বাতাস, সার ও পানি পায়।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবছর নকলা উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গেল বছর ১৮০ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা করা হয়েছিল যা এবছর বেড়ে ১৯৫ হেক্টর হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১৫ হেক্টর বেশি।
বীজতলায় রোগ ও পোকা-মাকড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা যায়। আদর্শ বীজতলা করলে অল্প জায়গায় চারা দিয়ে বেশি জমি রোপণ করা যায়। এই বীজতলা তৈরিতে বীজ কম লাগে ও রোপণের সময় চারা সাশ্রয় হচ্ছে। এ চারা দিয়ে লাইন লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করে গত কয়েক বছর ধরে ভালো ফলনও পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে বীজ খরচ কম হয়। বীজ তলায় রোগ বালাই নেই। জমিতে ধান রোপণে চারা কম লাগছে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কৃষক লাভবান হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী দুই হাত চাওড়া করে আদর্শ বীজতলা করছেন কৃষকরা। প্রতি বীজতলার চারপাশে ১ ফুট নালা রাখা হচ্ছে। এতে তারা ভাল মানের চারা তৈরি করছেন। ভাল মানের চারা পাচ্ছেন এবং উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, আগাছা দমন, সার প্রয়োগ, সেচ দেওয়া, বালাই দমন সহজ হয় এবং সুস্থ সবল চারা উৎপাদন হয়। হিসাব মতে ১ শতক বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ২০ শতক ধানের জমি রোপণ করা যায়। এ কারণে মাত্র একটি বা দুটি চারা দিয়ে একটি গোছা তৈরি করা যায়।