শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এফআইআরভুক্ত আসামি মো. সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ আগস্ট রবিবার শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণমিছিল বের হয়। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতারী গুলি করতে থাকে। দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে সবুজ মিয়া (১৮) নামে একজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ১২ আগস্ট সোমবার দণ্ডবিধি ১৪৩/৩০২/৩৪ ধারা, পেনাল কোড-১৮৬০ ধারায় শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯। মামলা দায়েরের পর র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানি ছায়াতদন্ত শুরু করেন এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ১২ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার গরুহাটি বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. সোহেলকে (৩৪) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের মো. কাজিমুদ্দিন শেখের ছেলে। মামলাটির অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামি মো. সোহেলকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।