শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলায় তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি শাহীন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের একটি আভিযানিক দল। ২৬ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী শেরপুর জেলা কারাগারে আক্রমণ করে। এ সময় আক্রমণকারীরা জেলা কারাগারের বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় ৫১৮ জন কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি, শেরপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এবং শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা পলাতক কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে আসছে র্যাব-১৪। ইতিমধ্যে পলাতক আসামিদের কয়েকজন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক কয়েদি (নম্বর-৮০১১/এ) শাহীন মিয়াকে (৩৩) আইনের আওতাতায় আনার জন্য র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে জানতে পারে যে, তিনি শেরপুর জেলার সদর উপজেলার খরমপুর এলাকায় অবস্থান করছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে র্যা-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল শেরপুর সদর উপজেলার খরমপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলায় (নম্বর ৭/২৪) মামলায় তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত ও ১০০ টাকার আর্থিক জরিমানায় দÐিত পলাতক কয়েদি শাহীন মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তার শাহীন মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর গৌরীপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে। তাকে শেরপুর সদর থানা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার কয়েদি শাহীন মিয়া ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের ঘটনার দিন অন্যান্য কয়েদিদের সাথে কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জেল পলাতক এসব হাজতি ও কয়েদিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাবের জোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম 
















