
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক হত্যা মামলার কয়েদি মাশরেফি আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। তিনি শেরপুর জেলা সদর উপজেলার ভাতশালা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব কর্তৃপক্ষ।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল অনুমান ৪টার দিকে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী শেরপুর জেলা কারাগারে আক্রমণ করে বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনপূর্বক বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরস কোম্পানি, শেরপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহকৃত পলাতক কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র্যাব-১৪।
এরই ধারাবাহিকতায়, জামালপুর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক ও এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৯ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি মাশরেফি আরিফকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা এলাকা থেকে পলাতক হাজতি মাশরেফি আরিফকে (৪১৯৮/২২) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার কয়েদী ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর শেরপুর সদর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার (নং ২০) কারাভুক্ত আসামি। গ্রেপ্তারের পর পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আসামিকে শেরপুর জেলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি মাশরেফি আরিফ ঘটনার দিন অন্যান্য কয়েদিদের সাথে কৌশলে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকেন বলে স্বীকার করেছেন। জেল পলাতক এসব কয়েদিদের বিরুদ্ধে র্যাবের জোরালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 
















