
নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম
শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক হত্যা মামলার বিচারাধীন এক হাজতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। ৩০ আগস্ট ভোরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাজতির নাম সোহেল মিয়া (১৯)। তিনি ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুরা এলাকারই মজিবর রহমানের ছেলে। তার হাজতি নম্বর ২৭৩১/২১।
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযানের বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকাল চারটার দিকে শেরপুর জেলা কারাগারে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী আক্রমণ করে। তারা সরকারি স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি করে। সেইসাথে বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় ৫ শতাধিক কয়েদি ও হাজতিকে পালাতে সহায়তা করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প শেরপুর কারা কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসকের সরবরাহ করা পলাতক কয়েদি ও হাজতিদের তালিকা সংগ্রহ করে। তারপর তাদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদ পাওয়ার পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব জানতে পারে যে, হাজতি সোহেল মিয়া ঝিনাইগাতীর পাইকুরা এলাকায় অবস্থান করছে। তারপর র্যাবের একটি আভিযানিক দল ৩০ আগস্ট শুক্রবার ভোর ৩টা ৫মিনিটের দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজতিকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব জামালপুর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম আমিনুল ইসলাম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হাজতি সোহেল মিয়া ঝিনাইগাতী থানায় ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর করা একটি হত্যা মামলার বিচারাধীন আসামি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই মামলায় শেরপুর জেলা কারাগারে আটক ছিলেন।
র্যাব জানায়, হাজতি সোহেলকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ঝিনাইগাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, ঘটনার দিন সোহেল মিয়া অন্যান্য কয়েদি ও হাজতিদের সাথে কৌশলে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান। তারপর শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকেন।
জেল পলাতক কয়েদি ও হাজতিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে জোরালো অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও র্যাব জানায়।
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 
















