শেরপুরে বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদসহ ৮ চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ৮ জন চাঁদাবাজ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন
বিশেষ প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম

সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলকারি পণ্যবাহী ট্রাক, সিএনজি এবং অটোরিকশা থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে শেরপুরে চাঁদাবাজির মূল হোতাসহ আটজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। ২৪ জুন সোমবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সংস্থাটি। এর আগে ২৩ জুন রবিবার জেলা শহরের এমএস সামাদ সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চাঁদাবাজরা হলেন- মোশারফ হোসেন (৩৮), আল আমিন (৩৭), আতিকুর হক (৩৯), তারা মিয়া (৪০), আল আমিন সরকার (৩৮), মানিক মিয়া (৫৫), সাদ্দাম হোসেন (৩১) ও আতাউর কবির ওরফে এনামুল (৩৮)।

এ সময় চাঁদাবাজদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ৩৫ হাজার টাকা নয়টি মোবাইল সেট, চাঁদাবাজির টাকা হিসাব নিকাশে ব্যবহৃত দুটি টালি খাতা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার চাঁদাবাজদের বরাত দিয়ে র‌্যাব-১৪ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। তারা জেলা শহরের এমএস সামাদ সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলকারি পণ্যবাহী বিভিন্ন গাড়ি, সিএনজি-অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে। এ জন্য তারা কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদিন সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শেরপুরে আসা পণ্যবাহী যানবাহন প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন ধরনের সংকেতের মাধ্যমে গাড়ির গতি রোধ করে চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে।

মেজর আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওইসব চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে থাকে। কোন কারণে ড্রাইভাররা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের গাড়ি ভাংচুর মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এভাবে প্রতি রাতে পণ্য এবং যাত্রীবাহী গাড়ির চালকদের কাছ থেকে তারা লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে আসছিল। ২৩ জুন রবিবার জেলা শহরের এমএস সামাদ সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় চাঁদাবাজদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ৩৫ হাজার টাকা নয়টি মোবাইল সেট, চাঁদাবাজির টাকা হিসাব নিকাশে ব্যবহৃত দুটি টালি খাতা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।