প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি : জামালপুরে ঘুষের ৬ লাখ টাকাসহ তিন প্রতারক আটক

জামালপুরে প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আটক তিন প্রতারক আশরাফ ঢালী, শামীম হোসেন ও নবী হোসেন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একজন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় তিনজন প্রতারককে হাতে নাতে আটক করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ। ১৩ মার্চ জামালপুর পুলিশ লাইন্সে প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির মৌখিক পরীক্ষা চলাকালের পুলিশ লাইন্স এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক তিন প্রতারক হলেন- জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বাটিকামারী গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন, ইসলামপুর উপজেলার চর গাঁওকুড়া গ্রামের আশরাফ ঢালী এবং ইসলামপুরের আগুনের চর গ্রামের মো. নবী হোসেন।

জামালপুর ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, প্রতারক শামীম হোসেন প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরিপ্রার্থী মো. তরিকুল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তরিকুলের চাচা মো. নবী হোসেনের সাথে চুক্তি করেন। শুধু চাকরির প্রলোভনই নয়। আশরাফ ঢালী নামের অপর এক প্রতারক নবী হোসেনকে শর্ত দিয়ে বলে, তরিকুল চাকরি পেলে তার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। এর জন্য প্রতারক আশরাফ ঢালী প্রতারক শামীম হোসেনকে রূপালী ব্যাংক ধর্মকুড়া বাজার শাখা হিসাবের অনুকূলে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক দেন। একই সঙ্গে প্রতারক নবী হোসেন প্রতারক আশরাফ ঢালীকে নগদ ৬ লাখ টাকা দেন।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি টের পেয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নির্দেশে ডিবি পুলিশ অভিযানে নামে। ডিবি পুলিশের একটি চৌকষ দল ১৩ মার্চ দুপুরে জামালপুর পুলিশ লাইন্স এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক ও নগদ ৬ লাখ টাকাসহ শামীম হোসেন, আশরাফ ঢালী ও মো. নবী হোসেনকে আটক করে।

পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা কালে ডিবি পুলিশ তিনজন প্রতারককে আটক করেছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়ের করে আটক তিন প্রতারককে আদালতে সোপর্দ করার নির্দেশ দিয়েছি।