জামালপুরে আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস

জামালপুরের পাথালিয়া এলাকায় আখের সাথে সাথীফসল চাষবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মো. আলমগীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনকভাবে আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি সকালে পাথালিয়া এলাকায় সাথীফসল ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

বিএসআরআই’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবু তাহের সোহেলের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদী ও পাবনার মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর জিল বাংলা সুগার মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান, জামালপুর বিএসআরআই উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ ড. খন্দকার মহিউল আলম, বিএসআরআই প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান মো. হাসিবুর রহমান, জামালপুর জিল বাংলা সুগার মিলস্ লিমিটেড (কৃষি)’র মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, উদ্ধর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদ্ধর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম পাভেল।

বক্তারা বলেন, আখের সাথে সাথীফসল একটি লাভজনক প্রযুক্তি। সাথীফসল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কৃষকরা একই জমি থেকে সাথীফসল ও প্রধান ফসল আখ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

কৃষকরা জানান, পূর্বে তারা আখের সাথে কোন সাথীফসল করতেন না। কিন্তু বর্তমানে বিএসআরআই এর আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা আখের সাথে ১ম সাথীফসল হিসেবে ডাল জাতীয় (মসুর, মটর, ছোলা, খেসারি), মসলা জাতীয় (পেঁয়াজ, রসুন) ও সবজি জাতীয় ফসল (আলু, ফুলকপি, টমেটো) চাষাবাদ করছেন। ১ম সাথীফসল উত্তোলনের পর কৃষকরা ২য় সাথীফসল মুগ ডালের আবাদ করছেন।

কৃষকরা আরও জানান, গতানুগতিক ধাঁচের আখ চাষ হতে বের হয়ে কৃষকরা বিভিন্ন সাথীফসলের চাষাবাদ করছেন। এতে করে স্বল্প সময়ে অনায়াসেই সাথীফসল উত্তোলন করে লাভবান হচ্ছেন তারা।

বক্তারা বলেন, চলতি বছরে মসলা জাতীয় ফসলের ভালো দাম থাকায় আখের সাথে মসলা জাতীয় সাথীফসল পেঁয়াজ ও রসুন চাষাবাদ করে কৃষকরা বিঘাপ্রতি ৫০-৬০ হাজার টাকা মুনাফা করছেন। এছাড়াও সবজি জাতীয় সাথীফসল আলু, ফুলকপি ও টমেটো চাষাবাদ করে কৃষকরা বিঘাপ্রতি প্রায় ৫৫-৬০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করছেন। এছাড়াও ডাল জাতীয় ফসল (মসুর, মটর, ছোলা ইত্যাদি) চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

কৃষকরা বলেন, সাথীফসল প্রকল্পের মাধ্যমে আখ ও সাথীফসলের বীজ, সার, কীটনাশকসহ বিভিন্ন উপকরণ পাচ্ছেন। এতে করে আখ চাষে তারা আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, উপকেন্দ্র জামালপুর এবং অর্থায়নে আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্প। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান।