ঈগল প্রতীকের প্রধান সমন্বয়কারী বাবুসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

মো. আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম :
জামালপুর-৫ (সদর) আসনের শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডোলা এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারকেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও চারজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিমের প্রধান সমন্বয়কারী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবুসহ ২৫ জনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

২৮ ডিসেম্বর দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডোলা গ্রামের মো. জাকির হোসেন। তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের কর্মী। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের প্রচারকেন্দ্র ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, চারজন কর্মীকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর করাসহ টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন সেট চুরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৈডোলা হক দাখিল মাদরাসা মাঠের পাশে নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের প্রধান সমন্বয়কারী মো. আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু এ প্রতিবেদককে বলেন, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) কৈডোলা গ্রামের ওই ঘটনার সাথে আমি জড়িত ছিলাম না। ওইদিন একই সময়ে আমি সদরের নান্দিনায় একজন ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে তার জানাজায় গিয়েছিলাম। ওই জানাজায় নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরাও ছিলেন। অথচ আমাকে ওই মামলার আসামি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যাতে কাজ করতে না পারি এজন্যই নৌকার প্রার্থীর পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে আমাকে মামলাটির প্রধান আসামি করা হয়েছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর এ প্রতিবেদককে বলেন, সদরের শাহবাজপুরের কৈডোলা এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারকেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটির আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।