নৌকার প্রার্থী আজাদকে কাছে পেয়ে জামালপুর সদরের ভোটার সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বসিত

শরিফপুরের শ্যামপুরে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.আবুল কালাম আজাদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম :
জামালপুর-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ২৫ ডিসেম্বর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ভোটার জনতার দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এছাড়াও তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত কয়েকটি নির্বাচনি সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ভোটার সমর্থকদের নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের মুকুলবাজার এলাকায় যান গণসংযোগ করতে। নৌকার প্রার্থীকে কাছে পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, ভোটার সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। এ সময় প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় ভোটার জনতা, দোকানদার ও বিভিন্ন পেশাজীবী ভোটার জনতার সাথে শুভেচছা বিনিময় করেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

শরিফপুরের শ্যামপুরে নির্বাচনি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.আবুল কালাম আজাদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

পরে তিনি শ্যামপুর এলাকায় ব্র্যাকের কাঁথা সেন্টারের সাথে জড়িত নারীকর্মী ভোটার সমর্থকদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। ওই সমাবেশে প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ভোটার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জামালপুর সদরের উন্নয়নের জন্য আমি সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো। বিগত জনপ্রতিনিধিরা যা যা কাজ করেছেন সেইসব কাজগুলোকে আমি আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। নৌকা হলো শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতীক। আপনারা শেখ হাসিনাকে অধিক সংখ্যক ভোট দিবেন। সেই ভোটের বিনিময়ে আপনাদের এলাকার উন্নয়নের জন্য টাকা নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, এইবার শেখ হাসিনা আমাকে আপনাদের ভাই বানায়ে পাঠাইছে। এই যে ভাই ভাই হলাম। এই ভাই ভাই ও ভাই-বোনের মাঝখানে কোন বাধাবিঘ্ন নাই। সরাসরি যোগাযোগ হবে আমাদের মধ্যে। যাতে করে আপনার কথা আমি শুনতে পারি। আমার কথা আপনারা শুনতে পারেন। আপনারা যদি আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। এই ভোটের মূল্য আমি শতগুণ করে ফেরৎ দিবো নির্বাচনের পরে। পরে তিনি ভোটার জনতার উদ্দেশ্যে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান ধরেন।

শরিফপুরের বিভিন্ন গ্রামের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.আবুল কালাম আজাদ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এর আগে ওই সমাবেশে জামালপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ জামালপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের পরিচিতি তুলে ধরে তার জন্য ভোট প্রার্থনা করে বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে পছন্দ করে এই আবুল কালাম আজাদ ভাইকে জামালপুরের মানুষের উন্নয়নের জন্য, সদরের মানুষের উন্নয়নের জন্য উনাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে পাঠিয়েছেন। আরো যারা প্রার্থী ছিলেন। তারাও চেয়েছিলেন। তাদেরকে উনি দেন নাই।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু এই এলাকা অবহেলিত। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নাই। রাস্তা কাঁচা। ইটের সলিং। রাস্তা প্রশস্ত না। মসজিদ, মক্তব, মাদরাসা, স্কুলে আপনাদের সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালের সমস্যা রয়েছে। আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান করবার জন্য সরকারি সবচেয়ে বড় পদে যিনি চাকরি করতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরেই যিনি বসতেন। তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন এই আসনের মানুষের জন্যে। আপনাদেরকে ভালোবেসে, শেখ হাসিনা তাকে সম্মান দিয়ে তাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। একটা আবেদন ও প্রার্থনা রইলো- শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমরা মো. আবুল কালাম আজাদের নৌকা প্রতীকে ভোট চাই।

শরিফপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর ও মুকুলবাজার এলাকায় গণসংযোগ শেষে প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ এবং জেলা, সদর উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বাদেচান্দি মোড় ও খলিশাকুড়িসহ শরিফপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। গণসংযোগকালে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, আইনজীবী মো. আমান উল্লাহ আকাশ ও জিএসএম মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহ সফি গেন্দা, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সাজদা-ই-জান্নাত তনু, জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এম এ মান্নান, সহসভাপতি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সজিব, শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম আলম।