চোখের লেন্সের দাম বেঁধে দিল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চোখের কৃত্রিম লেন্সের দামে নৈরাজ্য ঠেকাতে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ)। ২৯টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ১২৯ ধরনের লেন্সের দাম বেঁধে দেওয়া হয়। নির্ধারিত দামের বেশি নিলে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি।

১৩ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ডিজিডিএ। এ দাম একই দিন থেকে কার্যকর হয়েছে বলে ১৪ ডিসেম্বর ডিজিডিএর মুখপাত্র উপপরিচালক মো. নূরুল আলম আমাদের সময়কে জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের হয়া ল্যাম্পুন কোম্পানির হয়া আইইএনএস-২৫১ মডেল ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা, হয়া আইইএনএস-১৫০ মডেল ৯ হাজার ৮৫ টাকা, এক্সওয়াই১-এসপি ২১ হাজার ১৯০ টাকা, পিসি-৬০ এরা ৮ হাজার ৩২৫ টাকা, হয়া ভিভিনিক্স টরিক ৪৬ হাজার ২৩৮ টাকা, হয়া নামিক্সমাল্টিসেরট ১৯ হাজার ২৮০ টাকা।

ভারতের ট্রফোল্ডুফোডেবল ১ হাজার ১৯০ টাকা, এক্সিলেন্স রিজিড পিএমএমএ ২০৩ টাকা, অপটিমা লেন্স ২০১ টাকা, অপটিমা অ্যাক্রিলিক ৮৭১ টাকা, ম্যাক ফোল্ড ৮০০ টাকা, অপটিমা ভিইউই ৩ হাজার ৮০০ টাকা, আইক্রেল টোরিক ১৬ হাজার ৪৪২ টাকা, আইক্রেল প্লাস ৪ হাজার ৭৩৩ টাকা, আইক্রেল প্লাস হাইড্রোলিলিক ১ হাজার ৪২৪ টাকা, আইক্রেল এসইআরটি ৬ হাজার ৩৬০ টাকা, একোয়া ফোল্ড ১ হাজার টাকা, এক্রিভাস ২ হাজার ৯৫০ টাকা, ইউরোলেন্স ২২৮ টাকা, ইউরোঢোল্প ১ হাজার ১৩ টাকা, ইউরোভিউ ৩ হাজার ১৬৫ টাকা, ইউরোভিউ টোরিক ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, ইউরোভিউ ডিফাইন ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, ইউরোভিউ ইভি গোল্ড ৭২৯৩ টাকা, ইউরোব্ল ২২০ টাকা, ইউরোভাইস ৩০৫ টাকা, ইউরোজেল প্লাস ১ হাজার ৪২৩ টাকা, ইউরোসিল ৪ হাজার ২৫০ টাকা, আইরো অপকটেন লিকুইড ৫ হাজার ৯৩২ টাকা, ন্যানো আইওএল ৫ হাজার ৯৩০ টাকা, ন্যনো আইএএল ২০১ টাকা, ন্যানো এসকিউডি-৩৬০ ৪০২ টাকা, ন্যানো কিউ ৪৯১ টাকা, ন্যানো ফোল্ড ৮৭১ টাকা, আইলা অ্যাক্রেলিক ৩ হাজার ২৬৬ টাকা, অ্যাক্রিল ৮৯০ টাকা, ক্লারভিউ ৬৮০ টাকা, হাইড্রোফিল (এফএ-৬০২৫) ১ হাজার ১৪৫ টাকা, কেটরাকোর ১৮১ টাকা, গ্লোফোল্ড ৭২৬ টাকা, অকুফ্লিস ৭৮০ টাকা, আই-ও-কেয়ার ১৪৩ টাকা, অ্যাক্রোল ইসি ৪ হাজার ৫৪৬ টাকা, অ্যাক্রোল প্রিলোডেড ২ হাজার ৭২৮ টাকা, অ্যাক্রিডিফ ২১ হাজার ৪২৯ টাকা, অ্যাপেলেন্স ২২৮ টাকা, অ্যাক্রিফোল্ড ইন্ট্রিকুলার ১ হাজার ১৩ টাকা, সুপার ফোব ৩ হাজার ২৬৬ টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রের একিউট পিএমএমএ ১ হাজার ৫৯৮ টাকা, একিউইটি হাইপ্রোফোবিক ৬ হাজার ৬৬০ টাকা, আইকিউ অ্যাক্রেলিক ১৬ হাজার ৩২৫ টাকা, এক্রোসফ মাল্টপিস ৬ হাজার ৯০০ টাকা, এক্রোসফ এক্রলিক ৯ হাজার ৭০২ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ টরিক ৪১ হাজার ৫০৫ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ এসফেরিক ১৮ হাজার ৫৮৪ টাকা, এক্রোসফ আইকিউপেনপটিক্ ৮০ হাজার ২২৩ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ ভিভিটি ৮৬ হাজার ১২৫ টাকা, ক্লেরন হাইড্রোফবিক ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা, সানকস্ট হাইড্রোফিলিক ৪ হাজার ৫৫০ টাকা, সানকস্ট পিএমএমএ ১ হাজার ৬২০ টাকা, মাইরাডো ১১ হাজার ৫০০ টাকা, ভিসটাজো ৫ হাজার ৪০০ টাকা, ওএসআই পিএমএমএ ১ হাজার ৫০০ টাকা, সানকস্ট হাইড্রোফিবিক ১৩ হাজার টাকা, ইভিও ভিসিআন আইসিএল ৫৫ হাজার ২০৩ টাকা, ইভিও ভিসিন টোরিক আইসিএল ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা, ইভিও প্লাস ৫৫ হাজার ২০৩ টাকা, ইভিও প্লাস ভিসিন টোরিক ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা, একেআরইওএস (মাইক্রো) ১৩ হাজার ৭২৪ টাকা, একেআরইওএস (এডভান্স) ৮ হাজার ২০০ টাকা, ইএন ভিসটা ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, আইএসআইওএল পিএমএমএ ১ হাজার ৫৮৫ টাকা, এমডিআর পিএমএমএ ১ হাজার ৬০০ টাকা, এমডিআর হাইড্রোলিলিক ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এমডিআর হাইডোফিলিক অ্যাক্রেলিক ৬ হাজার ৯০০ টাকা, আইএসআইএএল ফোল্ডাবেল ৪ হাজার ৮০ টাকা, টেক-লেন্স ২৬ হাজার ৬০০ টাকা, টেক লেন্স (৮৭২) ৫৯ হাজার টাকা, টেক লেন্স ৮৭২ ওয়াই ৬ হাজার ৪০০ টাকা, টেক লেন্স (৯০০) ৭ হাজার ৯৫০ টাকা, প্রিসিসেল সফট পি ৩০২ এ ১৫ হাজার ১৫০ টাকা, প্রিসিসেল সফট পি ৩০২ এসি ৯ হাজার ৮৫০ টাকা, হাইড্রোফিলিকসিএলএম ফ্লিক্স-৪২ ৫ হাজার ১০০ টাকা, অ্যাস্ট্রেরি ৫৬ ইনজেক্টর ৭ হাজার টাকা, আইসোটেকনিক পিএমএমএ ২ হাজার ৩০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ৫ হাজার ৭০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ইয়েলো ১৫ হাজার টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (আইবি ৬০) ১০ হাজার ৪০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ২৫ বিএসওয়াই ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (এইচপি-২৫) ১১ হাজার ২০০ টাকা, সেনসার এইচডিওয়াই ৭ হাজার ৩২৫ টাকা, সেনসার-১ পিস ৯ হাজার ৫৯৭ টাকা, টেকনিস মনোফোকাল ১৬ হাজার ৫৬২ টাকা, টেকনিস সিমফনে ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা, টেকনিস আইহেন্স ২২ হাজার ৯২২ টাকা, ডিজিআর হাইডোফোবিক ৬ হাজার ৯০৩ ও ৪ হাজার ৮৮ টাকা এবং ডিজিআর পিএমএমএ ১ হাজার ৬২০ টাকা।

জাপানের নেক্স লয়েড এসপি ১৪ হাজার টাকা, নেক্স লয়েড এসপি ক্লিয়ার ১১ হাজার ৭০০ টাকা। বেলজিয়ামের ভিসকোট স্টেরিল ৪৬৫০ টাকা, আইএসওপিউর ২৫ হাজার ৫০০ টাকা, ফাইন ভিশন ৭২ হাজার ৫০০ টাকা, মাইক্রোপুরি-১২৩ ১৫ হাজার টাকা। সব হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে এ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লেন্সের সর্বোচ্চ মূল্য তালিকা প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এ ছাড়াও ফ্যাকো সার্জারির পর রোগীকে লেন্সের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে।

নূরুল আলম বলেন, লেন্সের দামে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলে আসছিল। এসব অনিয়ম ঠেকাতে লেন্সের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি আমরা। সাধারণ মানুষ যাতে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত। কেউ নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সূত্র:দৈনিক আমাদের সময়।