৪৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দ্রুতবর্ধনশীল : এমইআইর প্রতিবেদন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

বিশ্বের ৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিকবিষয়ক সংস্থা মাস্টার কার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট (এমইআই)।

১২ ডিসেম্বর এমইআই আগামী ২০২৪ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ইকোনমিক আউটলুক : ব্যালেন্সিং প্রাইসেস অ্যান্ড প্রায়োরিটিস শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ভোক্তা মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৩ শতাংশ দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

যদিও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকার সংশোধিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি মূল বাজেট থেকে ০.৫ শতাংশ কমিয়ে ৭ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করেছে। একইভাবে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশে উন্নীত করেছে।

এমইআইর পূর্বাভাসের তুলনায় সরকারের পুনর্নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ০.৭ শতাংশ কম এবং মূল্যস্ফীতির হার ০.৩ শতাংশ বেশি।

অবশ্য ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউটের এই আউটলুকে বাংলাদেশের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি অর্জন করাকেই বিশ্বের ৪৬টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আর মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ৪৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ সর্বোচ্চ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে শীর্ষ দ্রুতবর্ধনশীল দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে ভারতকে, যার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস রাখা হয়। তৃতীয় বর্ধনশীল দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে ভিয়েতনামকে (৬ দশমিক ১ শতাংশ) এবং চতুর্থ হিসেবে দেখানো হয় ইন্দোনেশিয়াকে (৫ দশমিক ২ শতাংশ)।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে আর্জেন্টিনাকে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশটির মূল্যস্ফীতি হবে ১৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ), দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তুরস্ক (৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ), তৃতীয় সর্বোচ্চ মিশর (২৪ দশমিক ৯ শতাংশ) এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ শ্রীলঙ্কার (৬ দশমিক ৯ শতাংশ)।

প্রতিবেদনের পর্যালোচনা অংশে বলা হয়েছে, অর্থনীতিতে মহামারির প্রভাব কমে আসছে, সেইসঙ্গে কমছে মূল্যস্ফীতির হার। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের হাতে ২০২৪ সালে বিনোদন ও ভ্রমণের মতো ইচ্ছা পূরণের খাতে আরও বেশি ব্যয় করার সামর্থ্য থাকবে। গৃহস্থালি পণ্য ও কাপড়ের চাহিদা বাড়বে। সব মিলে এ সময় ভোক্তা ব্যয় বাড়বে। উৎপাদন খাত চাঙ্গা হবে। ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের হারও কিছুটা বাড়বে। রপ্তানি বাড়বে। এতে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে।