গাজা থেকে কাউকে মিশরে সরানো হয়নি : হামাস কর্মকর্তা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ৮ নভেম্বর গাজা উপত্যকা থেকে রাফাহ সীমান্ত হয়ে কোনো আহত ফিলিস্তিনি বা দ্বৈত নাগরিককে মিশরে সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

হামাস কর্মকর্তা এএফপি’কে বলেছেন, আহতদের সরিয়ে নেয়ার তালিকা ইসরায়েল অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাফাহ সীমান্ত বন্ধ ছিল।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, এক মাস আগে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে প্রায় ১,৪০০ লোককে হত্যা করে এবং ২৩৯ জনকে জিম্মি করলে যুদ্ধ শুরু হয়। নিহতদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক।

এদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক গাজা উপত্যকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযান চালিয়ে সাড়ে দশ হাজারেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

মিশরের সঙ্গে যুক্ত রাফাহ টার্মিনাল বোমায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন ভূ-খন্ডের ছিটমহল গাজা উপত্যাকা থেকে আটকে পড়া বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১ নভেম্বর থেকে পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।

ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট ও হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, সীমান্তের দিকে রওনা হওয়া অ্যাম্বুলেন্সের বহরে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার পর টার্মিনালটি দু’দিনের জন্য বন্ধ ছিল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ‘হামাস সামরিক শাখা’ ব্যবহৃত একটি অ্যাম্বুলেন্সকে টার্গেট করে হামলা চালায়।

৮ নভেম্বর এএফপি’র এক সাংবাদিক বলেছেন, তিনি মিশরে যাওয়ার আশায় রাফাহ ক্রসিংয়ে বিপূল সংখ্যক লোকের ভিড় দেখেছেন।

জার্মান পাসপোর্টধারী মাজেন দানাফ এএফপি’কে বলেন,গাজার পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’। তিনি বলেন, সেখানে বিদ্যুত, পানি, জ্বালানিসহ কিছুই নেই এবং হাসপাতালগুলোতে আহতদের ভিড় বাড়ছে।

মিশর বলেছে, তারা ক্রসিং দিয়ে প্রায় ৭,০০০ বিদেশীকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করবে।