লিবিয়ার বন্যার্তদের জন্য ৭১ মিলিয়ন জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের

জাতীসংঘবাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক

লিবিয়ায় চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যার পর ৭১ মিলিয়ন ডলার জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

হারিকেনের শক্তি নিয়ে ড্যানিয়েল ঝড় ১০ সেপ্টেম্বর লিবিয়ায় আঘাত হানে। প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪ হাজার মানুষ মারা যায়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও হাজার হাজার মানুষ।

১৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ এই আবেদন জানিয়ে বলেছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১০ সেপ্টেম্বর দু’টি উজানের বাঁধ ফেটে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেরনা শহর একটি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

ওসিএইচএ বলেছে, আনুমানিক শহরটির ৩০ শতাংশ অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে এবং বেশিরভাগ রাস্তা ধসে পড়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ত্রাণ ও এবং উদ্ধারকৃত লোকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য একটি সমুদ্র করিডোর স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে।

সমুদ্রতীরবর্তী শহর সোসে এখনও পুরো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করে ওসিএইচএ বলেছে, অনুমিত ৮৮৪,০০০ জন লোকের মধ্যে ২৫০,০০০ জনকে সবচেয়ে জরুরী প্রয়োজনে সাড়া দিতে ৭১.৪ মিলিয়ন প্রয়োজন। এ জন্য তারা মানবিক সহায়তা অংশীদারদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।

বুধবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় বিষয়ক সংস্থা প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস ১০ মিলিয়নের তাৎক্ষণিক জরুরি তহবিল ঘোষণা করেছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পুরো আশপাশের এলাকাগুলো মানচিত্র থেকে মুছে গেছে। পুরো পরিবারগুলো পানির স্রোতে ভেসে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ পৌঁছানো এবং পুনরুদ্ধারে অবশ্যই লিবিয়ার জন্য এই কঠিন সময়ে অন্য কোনও উদ্বেগকে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে আসা উচিত।’

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই সাহায্য পাঠিয়েছে বা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিদেশী উদ্ধারকারী দলগুলো জীবিতদের সন্ধানে এবং মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।