বকশীগঞ্জে জলাবদ্ধতায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

চরম দুর্ভোগে রয়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলো। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জে পুকুরের বাঁধের কারণে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবারের প্রায় সাড়ে ৭০০ মানুষ। এতে করে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলোর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ঝুড়ার পাড় গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। এই গ্রামে পানি বের হওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়েছে। একারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এই গ্রামের বেশির ভাগ বাড়ি ঘর ও রান্না ঘরে পানি উঠেছে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন যাপন করছেন শতাধিক পরিবার। অনেক পরিবারের রান্না ঘরের চুলা পানির নিচে থাকায় হোটেল থেকে রুটি বা শুকনো খাবার খেয়ে দিনানিপাত করছেন পানিবন্দি পরিবারগুলো। এসব পরিবারের গবাদি পশুগুলো রাস্তায় রাখা হয়েছে।

অনেক পরিবার তাদের শিশু বাচ্চা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। পানিতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে সারাক্ষণ পাহাড়া দিয়ে রাখতে হচ্ছে। অনেকের ঘরে পানি উঠায় আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

চরম দুর্ভোগে রয়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলো। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, এই গ্রামের প্রভাবশালী হাজী শামসুদ্দিন নন্দের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাবুলের দুটি পুকুরের বাঁধের কারণে বৃষ্টির পানি বের হতে পারে না। বাঁধ দুটির কারণে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন নারী, শিশু, বৃদ্ধাসহ প্রায় সাড়ে ৭০০ মানুষ। স্থানীয় গ্রামবাসী বাঁধ দুটিতে পাইপ লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে চাইলে পুকুর মালিক তাতে রাজী হননি। ফলে ৫ দিন ধরে পানিবন্দি হলেও জলাবদ্ধতা কাটেনি।

স্থানীয় শাহজাহান আখতার জানান, আমরা শিশু বাচ্চাসহ গবাদি পশু নিয়ে বেকায়দায় পড়েছি। জলাবদ্ধতার কারণে চলাচল ও পয়নিষ্কাশন নিয়ে বিপাকে পড়েছি। তাই আমরা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।