আলেয়া গার্ডেনে তিনদিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু

বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন আলেয়া গার্ডেনের কর্ণধার দেওয়ান আলেয়া আজম ও জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আলী আকবর, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ‘বৃক্ষ প্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জামালপুর পৌরসভার দেউরপাড় চন্দ্রায় আলেয়া গার্ডেনের উদ্যোগে ১২ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী বৃক্ষমেলা।

১২ জুলাই দুপুরে ফুলের ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে তিনদিনব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির সহধর্মিণী আলেয়া গার্ডেনের কর্ণধার দেওয়ান আলেয়া আজম ও জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালেহ সফিক গেন্দা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নারায়ণ পাল রানা, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, পৌরসভার কাউন্সিলর এমদাদুল হক জীবন, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও জামালপুর কন্ঠ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বিএম রাজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন আলেয়া গার্ডেনের কর্ণধার দেওয়ান আলেয়া আজম ও জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির সহধর্মিণী বৃক্ষপ্রেমী দেওয়ান আলেয়া আজম জামালপুর পৌরসভার দেউরপাড় চন্দ্রায় ছয় একর জমিতে আলেয়া গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে রয়েছে দেশি-বিদেশী ফলজ-বনজ-ঔষধী ও সৌন্দর্য্যবর্ধক দুই শতাধিক প্রজাতির গাছের বিপুল সমারোহ। বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানের জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া জাতীয় সম্মাননা পদকও পান দেওয়ান আলেয়া আজম।

এবারের মেলায় গাছ দেখা ও গাছের চারা বিক্রির ব্যবস্থাসহ দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে গ্রামীণমেলা, ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ, যাদু প্রদর্শনী, খাবার ও চায়ের স্টল। ১৪ জুলাই পর্যন্ত বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই মেলা।

উদ্যোক্তা দেওয়ান আলেয়া আজম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান- এটাকে উপজীব্য করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে বেশি করে লাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমি তাকে অনুসরণ করেই এই বাগানটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এই বাগানে দেশি-বিদেশী ফলজ-বনজ-ঔষধী ও সৌন্দর্য্যবর্ধক দুই শতাধিক প্রজাতির গাছ আছে। এই বাগানের আরেকটা দিক হলো এখানে এলে সুন্দর মনোরম পরিবেশে যে কারো ভালো লাগবে। সবার মাঝে গাছ লাগানোর বিষয়ে অনুপ্রেরণা ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এই বৃক্ষমেলার আয়োজন করেছি।