ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তান কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে ধারণা তামিমের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী আফগানিস্তানকে হালকাভাবে না নেয়ার জন্য দলকে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ওয়ানডে সিরিজ সফরকারীরা ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিবে।

তামিমের মতে, আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে রেকর্ড ৫৪৬ রানে জয়ের মতো সহজ হবে না ওয়ানডে সিরিজ।

৪ জুলাই তামিম বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তান কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে ধারনা করছি। টেস্ট ম্যাচের মতো সহজ হবে না। সাদা বলের ফরম্যাটে সেরা বোলিং ইউনিটগুলোর মধ্যে একটি তারা। জিততে হলে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দলে রশিদ খান এবং আরো ক্রিকেটাররা ফিরেছেন যারা একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’

আগামীকাল শুরু হওয়া সিরিজের তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

গত দুই বছর ধরে দারুন ছন্দে থাকা পেসারদের সহায়ক উইকেট থাকবে বলে ইঙ্গিত দেন তামিম। বিষয়টি স্পষ্ট করে তামিম বলেন তিনটি ম্যাচেই ভিন্ন ধরণের পেস বোলিং কম্বিনেশন দেখা যাবে। কারণ খেলোয়াড়দের ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

তামিম বলেন, ‘তিন ম্যাচে আমরা ভিন্ন পেস বোলিং কম্বিনেশনে খেলাতে পারি। এটা ঠিক, একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার থাকলে ভালো হতো। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম কেউ করেনি। সাইফুদ্দিন থাকলেও এই মুহূর্তে ফিট নন তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই বছরে আমাদের পেস বোলিং বিভাগ অসাধারন করেছে এবং আমাদের অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’

দুই দল গত বছর সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখামুখি হলেও তিন ওয়ানডে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। মূলত বেশ কিছু দিন যাবতই ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজ মাঠে বাংলাদেশ অত্যন্ত শক্তিশালী দল। ২০১৫ সালের পর থেকে নিজ মাঠে বাংলাদেশ মাত্র দুটি ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। দু’টিই হেরেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে। ২০১৬ সালের পর এ বছর ইংলিশদের কাছে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।

সামনে বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্ট থাকায় কিছু ম্যাচ খেলার সযোগ দিতে দলে ফেরা দুই তরুণ নাইম শেখ ও আফিফ হোসেনকে সুযোগ দিতে চান বলেও নিজের অভিব্যক্তি ব্যাক্ত করেন তামিম।

তিনি বলেন,‘ যদিও এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবে আমরা চেস্টা করবো সবাই যাতে কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। আমি নাইম ও আফিফকে সেরা একাদশে দেখতে চাই। তবে এটা কঠিন কেননা যারা ভাল করে আসছে তাদেরকে আপনি বাদ দিতে পারেন না। আবার এটাও ঠিক যে, বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টের আগে তাদের কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়াটা গুরুত্বপুর্ন। কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলা খেলোয়াড়দের নিয়ে আপনি বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টে আপনি যেতে পারেন না। সুতরাং এটা গুরুত্বপূর্ণ।

তামিম আরও বলেন, ‘আগের সিরিজের মতো আমরা একজন অতিরিক্ত ব্যাটার বা বোলার নিয়ে খেলবো কিনা তা মূলত প্রতিপক্ষের উপর নির্ভর করে এবং আমরা সেটা করতে চাই।’