র‌্যাবের জালে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি

গ্রেপ্তার আল-আমিন। ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরের নকলায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আল-আমিনকে (৩২) নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। ২৫ মে দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

গ্রেপ্তার আল-আমিন উপজেলার নয়াবাড়ী এলাকার মৃত কলিম উদ্দিন ওরফে খোকার ছেলে।

র‌্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, ২০১০ সালের ১৮ মার্চ দুপুরে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া ওই শিশু শিক্ষার্থী স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় বিদ্যালয়ের ২০০ গজ পূর্বে পাঁকা রাস্তার কালভার্টের কাছে পৌঁছানো মাত্রই কালভার্ট সংলগ্ন ছনের আড়ালে একটি শুকনো ড্রেনের পাশে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আল-আমিন শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চেপে ধরে জোড়পূর্বক ধষর্ণ করে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের শিকার শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। তখন মা তার শিশু কন্যার হাফ প্যান্ট খুলে ক্ষত ও রক্তাক্ত যৌনাঙ্গ দেখতে পান। এ ঘটনায় শিশুর বাবা নকলা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আশিক উজ্জামান আরও জানান, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ শেরপুরের তৎকালিন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আল-আমিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন ।

আশিক উজ্জামান বলেন, ঘটনার পর থেকেই আল-আমিন দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং সিএনজিচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। পরে নানাভাবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করা হয়। এরপর ২৫ মে ভোর রাতে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকার বরপা এলাকা থেকে আল-আমিনকে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।