বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে মানুষের মুক্তির ঘোষণা আছে : জামালপুরে সুলতানা কামাল

সভায় বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আইনজীবী সুলতানা কামাল।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ভাষণে শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই ছিলো না মানুষের মুক্তি, মানবাধিকার, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক মুক্তির ঘোষণাও ছিলো। আজ যারা রাজনীতি করেন তাদের অধিকাংশই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনেন না, চর্চা করেন না। শুধু মিছিল, মিটিং করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবে না।

২৫ মে জামালপুর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের ত্রৈমাসিক সভায় কথাগুলো বলেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আইনজীবী সুলতানা কামাল।

তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় ব্যক্তির স্বচ্ছতা এবং সাড়া প্রদানের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কেনো মানববন্ধন করতে হবে, স্মারকলিপি দিতে হবে। জনগণের ট্যাক্সে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারিদের সাড়া দেওয়ার কথা। অথচ আমরা উল্টো চিত্র দেখি। এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্যই আমাদের পথে নামতে হচ্ছে। আমরা শতভাগ সফল হবো এটা বলা যাবে না। তবে হতাশ না হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম মোল্লা সভায় সভাপতিত্ব করেন। হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক জামালপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সাইদ আহম্মেদ, প্রবীণ সাংবাদিক উৎপল কান্তি ধর, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী টিপু সুলতান, এইচআরডি নেটওয়ার্কের সদস্য হিল্লুল সরকার, আশরাফুজ্জামান, মনোয়ারা বেগম, লিখি, মিলি প্রমুখ।

সভায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দ।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

সভায় গত তিনমাসে জামালপুরে হত্যা, ধর্ষণ, নারী, শিশু নির্যাতন, সাংবাদিক নির্যাতন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ, ভূমি দস্যুতাসহ ১১০টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার শিকার ব্যক্তির সুরক্ষা, ন্যায় বিচার প্রাপ্তি, তার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, তাকে কাউন্সিলিং করাসহ সর্বাত্মকভাবে পাশে দাঁড়ানোর জন্য সভায় আহ্বান জানানো হয়।

সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি ও গণজাগরণ তৈরিতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এইচআরডি নেটওয়ার্ক সদস্যদের আরও গতিশীল হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। সভায় ৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

এইচআরডি নেটওয়ার্ক আয়োজিত এবং উন্নয়ন সংঘ ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ডিটিআরসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে সভা শুরু হয়। সভা শেষে সুলতানা কামাল নির্যাতনের শিকার নারীদের সাথে কথা বলেন।