এস্পানিওলকে হারিয়ে লা লিগার শিরোপা নিশ্চত করল বার্সেলোনা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : এস্পানিওলকে হারিয়ে ২০১৯ সালের পর প্রথম লা লিগার শিরোপা জয় করল বার্সেলোনা। গতকাল এস্পানিওলের মাঠে অনুষ্ঠিত লা লিগার ম্যাচে স্বাগতিকদের ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মেতে উঠে কাতালান জায়ান্টরা। এই জয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল মাদ্রিদের কাছ থেকে শিরোপা ফিরে পেল বার্সা।

কাতালান জায়ান্টদের এটি ছিল ২৭তম স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। প্রতিবেশীদের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বার্সার হয়ে দুই গোল করেছেন পোলিশ তারকা রবার্ট লিওয়ানদোস্কি। এছাড়া একটি করে গোল করেছেন আলেজান্দ্রো বালদে ও জুলেস কুন্ডে। স্বাগতিক দলের হয়ে ম্যাচের শেষদিকে দুই গোল পরিশোধ করেছেন জাভি পুয়াডো এবং জোসেলু।

সম্প্রতিক সময়গুলোতে মাঠে ও মাঠের বাইরে বৈরি পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে বার্সেলোনা। তবে এই জয়টি তাদের উল্লেখযোগ্য উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহনের পর কোচ জাভি হার্নান্দেজের জন্য এটি হচ্ছে প্রথম কোন বড় ট্রফি জয়।

ক্লাবের ঝুঁকিপুর্ন আর্থিক পরিস্থিতিতে গত গ্রীষ্মে ক্লাবের পুনর্গঠন করতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা। শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়াটা ছিল ক্লাবটির জন্য বড় ধাক্কা। কিন্তু জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয় করা দলটি এবার চার ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করে নিল লা লিগার শিরোপা।

জাভি বলেন,‘ এটি ছিল দারুন এক আবেগময় মুহুর্ত। অনেক মাস কাজ করার পর এমন উৎসব উদযাপন না করা খুবই কঠিন। আমরা এটি উদযাপন না করার কারণ হচ্ছে এটি ছিল এস্পানিওলের স্টেডিয়াম।’এই জয় ক্লাবটি সঠিক পথেই চালিত হওয়ার প্রমান দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন বার্সা কোচ।

তিনি বলেন,‘ আমি খুবই আনন্দিত। আমরা দারুন একটি কাজ করেছি। চার ম্যাচ হাতে রেখেই এই জয়। এটিই হচ্ছে সম্পুর্নটাই দলের যোগ্যতা।’

গতকাল একাদশ গঠনে আলাদা কোন চমক রাখেননি কোচ জাভি। সুনির্দিস্ট লক্ষ্যকে মাথায় রেখে বার্সার প্রথম দলটিকেই মাঠে নামিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেটি পুরণ হয়। শুরু থেকেই দুর্দান্ত গতি প্রদর্শন করে দলটি। এটি ছিল মৌসুমে তাদের সেরা প্রদর্শনী। যার মাধ্যমে তালিকার ১৯তম অবস্থানে থাকা নগর প্রতিপক্ষ দলটিকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে কাতালানরা। পরাজিত দলটি এখন রেলিগেশন জোন থেকে মাত্র চার পয়েন্টে এগিয়ে আছে। হাতে রয়েছেন আর মাত্র চারটি ম্যাচ।

গতকাল ম্যাচের ১১ মিনিটেই গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন লিওয়ানদোস্কি। বালদের নিখুঁত যোগান থেকে পাওয়া বলটি পোস্টের খুব কাছ থেকে জালে জড়ান তিনি (১-০)। ২০ নিনিটে নিজেই গোল করে বার্সাকে দ্বিগুন ব্যবধানে এগিয়ে দেন লেফট ব্যাক বালদে। পেদ্রির বাড়িয়ে দেয়া বল নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (২-০)।

বিরতির আগেই ৩-০ ব্যবধানে পৌঁছে যায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৪০ মিনিটে রাফিনহার যোগান থেকে পাওয়া বল নিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লিওয়ানদোস্কি। বিরতি থেকে ফেরার পর ম্যাচের ৫৩ মিনিটে গোল করে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন কুন্ডে। স্বাগতিকদের রক্ষনের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফ্রেঙ্কি ডি জংয়ের ক্রসের বল জালে জড়ান তিনি।

ম্যাচের ৭৩ ও ইনজুরি টাইমে (৯০+২ মি.) স্বাগতিক এস্পানিওলের হয়ে দুটি গোল পরিশোধ করেন যথাক্রমে জাভি পুয়াডো এবং জোসেলু।