প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব পেল জামালপুরের ১৯১৭ শিক্ষার্থী
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজে ব্যবহৃত ট্যাব থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জামালপুর জেলার ৩১৯টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম ও দশম শ্রেণির এক হাজার ৯১৭ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে একটি করে ট্যাব বিরতণ করা হচ্ছে। ৩ মে বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে জামালপুর শহরের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩০ জন শিক্ষার্থীর হাতে একটি ট্যাব তুলে দিয়ে ট্যাব বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।
ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাবগুলো যাতে যথার্থভাবেই শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্য কারিকুলামের শিক্ষামূলকসহ ভালো কাজে ব্যবহার করে জ্ঞানচর্চা করতে পারে সেই দিকে অভিভাবক ও শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে। এই ট্যাবগুলোর উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের পথ সুগম হবে। শিক্ষার্থীরা স্মার্ট হওয়ার মধ্য দিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে তারাও তাদের মেধাকে যেন কাজে লাগাতে পারে সেটাই বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মৌসুমী খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব বিতরণ কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক জয়শ্রী পাল।
বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. রাফিউজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. ফজলুল হক আকন্দ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিরা মুস্তারী ইভা, জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান, জামালপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হালিমা বেগম, বঙ্গবন্ধু আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. রশিদুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা মনজু, উপকারভোগী শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা, সাদাত আশরাফী নাঈম ও তানভীর রহমান প্রমুখ।
জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক জয়শ্রী পাল বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মাধ্যমে জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প সম্পন্ন করেছে। সেই প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে তিন লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব ক্রয় করা হয়। ডিজিটাল শুমারি শেষে পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভিন্ন শুমারি ও জরিপ কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্যাব সংরক্ষণ করে অতিরিক্ত দুই লাখ এক হাজার ১৪৮টি ট্যাব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত ট্যাবগুলো সারাদেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম ও দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এরই অংশ হিসেবে জামালপুর জেলায় ডিজিটাল শুমারির কাজে ছয় হাজার ৪০০টি ট্যাব ব্যবহার হয়। তার মধ্যে প্রয়োজনীয় ট্যাব সংরক্ষণে রেখে অতিরিক্ত এক হাজার ৯১৭টি ট্যাব জামালপুর জেলার সাত উপজেলার ৩১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।