পরিবেশবান্ধব গ্রাম প্রতিষ্ঠায় জামালপুর এপির অভিনব উদ্যোগ

জামালপুরে পরিবেশবান্ধব গ্রাম প্রতিষ্ঠা বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: পাখি ডাকা ভোর, রাখালের বাঁশির সুর, বন্যদের অভয়ারণ্য, নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর ও জলাশয়ে হাঁস, মাছ ও জলজীবদের নিরাপদ বাস, গাছ, ঘাসের প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা, জৈব সার ও দূষণমুক্ত পদ্ধতিতে চাষাবাদসহ একটি প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব ছবির মতো গ্রাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম কাজ শুরু করেছে।

যান্ত্রিক ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের যৌথ উদ্যোগে চিরায়ত বাংলার সবুজ, শ্যামল মায়াজড়ানো প্রকৃতজাত গ্রাম গঠনে এলাকার সচেতন লোকদের নিয়ে ১৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ। উন্নয়ন সংঘের চাইল্ড সিটির সবুজ চত্বরে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

প্রশিক্ষণে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন এপির সিডিও সাব্বির হোসেন রিয়াদ, আফরোজা বেগম, সমীর কুমার পান্ডে। প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২১ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং অতিথিসহ মোট ৩০ জন অংশ নেন।

প্রশিক্ষণে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে, প্রকৃতির কোন ক্ষতি না করে, প্রকৃতি চর্চা করে শস্য উৎপাদন বা পারমাকালচার ডিজাইন বিষয়ে প্রশিক্ষণে নিবিড় আলোচনা করা হয়। আর এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ইকো ভিলেজ বা পরিবেশবান্ধব গ্রাম প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা যাবে বলে এপি সূত্র জানায়।

প্রশিক্ষণে গ্রামের পরস্পরকে শ্রদ্ধা, সম্মান জানানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা, জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা, বাড়ির আঙ্গিনার শতভাগ ব্যবহার করা, মাটি, পানি, বায়ু, শব্দ এবং আগুন ব্যবহানে যত্নবান হওয়া, এলাকায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা, সামাজিক দ্বন্দ্ব নিরসন করা, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ করা, বৃক্ষ নিধন প্রতিরোধ করা ও ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ করা, পাখি শিকার না করা, জলজজীব রক্ষাসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গ্রামের আপামর মানুষদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম পরিচালনায় কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে বলে প্রশিক্ষণে সহায়করা জানায়।

প্রশিক্ষণের শুরুতেই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দেশাত্ববোধক সংগীত পরিবেশন করা হয়।