সৌধ-এর আয়োজনে জীবনানন্দ উৎসব

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে জীবনানন্দ উৎসব।

১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার বৃটেনে দক্ষিণ-এশীয় শিল্পের শীর্ষ সংস্থা সৌধ সোসাইটি অব পোয়েট্রি এন্ড ইন্ডিয়ান মিউজিক আয়োজিত এ উৎসব ইস্ট লন্ডনের রিচমিক্স থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হবে।

বিলাতের প্রথিতযশা বাঙালি ও অবাঙালি কবি, লেখক, তাত্ত্বিক, সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পীরা উৎসবে বিভিন্ন ধরণের পরিবেশনায় অংশ গ্রহণ করবেন।

সৌধ পরিচালক কবি টি এম আহমেদ কায়সার বলেছেন, রূপসী বাংলার কবি হিসেবে খ্যাত জীবনানন্দের কালজয়ী সাহিত্য বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে প্রকারান্তরে বাংলা সাহিত্যের অসীম ঐশ্বর্য পরম্পরার প্রচারই এই উৎসবের প্রধান লক্ষ্য।

এতে একুশ শতকে জীবনানন্দের কবিতার বিবিধ নির্মাণ/ বিনির্মাণ বা পুননির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলবেন কবি জন ফার্ন্ডন, বিবিসি স্লাম চ্যাম্পলিয়ান কবি ডেভিড লী মর্গান, কবি ও অনুবাদক স্টিফেন ওয়াটস, কবি ও গদ্যকার শ্রী গাঙুলী। জীবনানন্দের কবিতার জার্মান, উজবেক ও পোলিশ অনুবাদ পাঠ করিবেন যথাক্রমে কবি এমি নেলসন স্মিথ, কবি খাসিয়াত রাস্তামোভা ও কবি আলেক্সান্দ্রা স্মেরেনচান্সকা! উড়িয়া ও উর্দু অনুবাদ পাঠ করবেন কবি মনা দাশ ও শিল্পী সামিয়া মালিক। আর্জেন্টিনার কবি গ্যাবি সাম্বুসিটি কৃত স্প্যানিশ অনুবাদ পাঠ ও নৃত্য-দৃশ্যায়নে অংশ নেবেন ফ্লামিঙ্কো নৃত্যশিল্পী মার্সিডিস আভলা কাবালেরো।

জীবনানন্দের কবিতা থেকে পাঠ করবেন কবি এরিক শিলান্ডার, পপি শাহনাজ, ডাঃ জাকি রেজওয়ানা আনোয়ার, কবি সারওয়ার ই আলম, কাউন্সিলর জাসমীন চৌধুরী, কবি তানজিনা নুর-ই সিদ্দীক, সোমা দাস, সঞ্জয় দাশ ও প্রপা রেজওয়ানা আনোয়ার। নেপথ্যে সঙ্গীত-রূপায়ন ও পরিবেশনায় থাকছেন তরুণ বংশীবাদক ময়ূখজিত চক্রবর্তী।

জীবনানন্দ দাশের কবিতার দৃশ্য রূপায়নে থাকছেন ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী অরিত্রী কুন্ডু, মনিদীপা শীল, এশা চক্রবর্তী ভট্রাচার্য ও ঈশিতা সিনহা।

সৌধ পরিচালক টি এম আহমেদ কায়সার জানান, সৌধ গত দুবছর ধরেই এই আয়োজন করে আসছে।

এতে বৃটেনের সাহিত্য মহলে বিপুল সাড়া পড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, জীবনানন্দ দাশ রবীন্দ্রনাথ-পরবর্তী বাংলা কবিতায় তো বটেই, বিশ্ব-কবিতার ভুবনেও এক অবিস্মরণীয় নাম । এই আয়োজনের ভেতর দিয়ে আমরা পশ্চাতের কবিতাপ্রেমী মানুষদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন এক কবিকে তুলে ধরতে চাই।

উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় থাকছে দক্ষিণ-এশীয় সাহত্য কাগজ গ্রন্থী ও রাধারমন সোসাইটি।