বকশীগঞ্জে উপজেলা সরকারি গণগ্রন্থগারে পাঠকের সরব উপস্থিতি!

বকশীগঞ্জ উপজেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে পাঠকের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণবন্ত হয়েছে গণগ্রন্থাগারটি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জে পাঠক সংখ্যা বেড়েছে উপজেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে। পাঠকের উপস্থিতিতে সরব ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে সরকারি এই গণগ্রন্থাগার। ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে সরেজমিনে ঘুরে তাই দেখা গেছে।

এই গ্রন্থাগারে পাঠকের উপস্থিত আরও বাড়াতে বই পড়া কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে গ্রন্থাগার পরিদর্শন করে পাঠকের কাতারে বসে বই পড়া কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা সব বয়সী মানুষকে নিয়মিত গ্রন্থাগারে এসে বই পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ তথ্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকা কালে ২০১৩ সালে বকশীগঞ্জ উপজেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন। গণগ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিদিনই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সুধীজন, শিক্ষাবিদ, বই প্রেমিরা এখানে আসেন বই পড়তে। এই গ্রন্থাগারে প্রায় ১০ হাজার বই রয়েছে। সাথে রয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন চাকুরীর বই।

এখানে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কর্ণার, শিশু কর্ণার, সাহিত্য কর্ণার, নজরুল কর্ণার রবীন্দ্র কর্ণার ও জব কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। চাকরি প্রত্যাশিরাও নিয়মিত আসছেন চাকরির বিভিন্ন তথ্য জানতে এবং চাকরির প্রস্তুতি নিতে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বেশি আসেন বই পড়তে। এছাড়াও গণগ্রন্থাগারের দায়িত্বে থাকা সহকারী লাইব্রেরিয়ান মাহমুদা আক্তারের বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে পাঠকের উপস্থিতি আরও বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে মানুষের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করছে সরকারি এই গণগ্রন্থাগার।