মির্জা আজমের প্রচেষ্টায় ৪৫ কোটি টাকায় জামালপুরে নির্মাণ হবে নতুন সার্কিট হাউজ

মির্জা আজম এমপি

আলী আকবর, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর জেলার উন্নয়নের রূপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার জামালপুর জেলাবাসী পেতে যাচ্ছে ৬ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক স্থাপত্য নকশার আলোকে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক মানের সার্কিট হাউজ। জামালপুর আধুনিক সার্কিট হাউজ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মুল্যায়ন কমিটির সভায় পাস হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জামালপুরে দাপ্তরিক সফরকালে নিরাপত্তাসহ আবাসন সুবিধা সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন করার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে জামালপুরে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হতে যাচ্ছে আধুনিক মানের এই সার্কিট হাউজ ভবনটি।

৮ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় প্রকল্পটি পাস হয়। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে সমাপ্ত হবে।

জামালপুর জেলায় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইপিজেড, তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কামালপুর স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন, জামালপুরে শেখ হাসিনা নকশীপল্লী, ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট প্রকল্পসহ সব মিলিয়ে সারা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

এসব প্রকল্পে কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তাগণ তাদের সরকারি সফর ছাড়াও অবকাশ যাপনের জন্য জামালপুর জেলায় আগমন করেন। আগত অতিথিদের অবস্থানের জন্য সরকারি পর্যায়ে জামালপুর জেলায় ভালো কোনো রেস্ট হাউজ নেই। বিদ্যমান সার্কিট হাউজটিও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা রয়েছে। এটি মূলত: একটি পুরাতন স্থাপনা, যার স্থাপত্যকাল ৮ মে ১৯৮০। বর্তমান সার্কিট হাউজের দ্বিতল ভবন উদ্বোধন করেন তৎকালীন ঢাকা বিভাগের কমিশনার খানে আলম খান।

সার্কিট হাউজটি মূলত একটি দুতলা বিশিষ্ট পুরাতন ভবন যাতে মাত্র ৭টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২টি ভিআইপি কক্ষ ও ১টি অভ্যর্থনা কক্ষ রয়েছে। নিচতলায় একটি কনফারেন্স রুমে ১০০ লোক নিয়ে সভা করার সুবিধাও রয়েছে।

এই সার্কিট হাউজটি উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কোনো সুযোগ সুবিধা নেই।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুর জেলায় একটি নতুন সার্কিট হাউজ এর স্থাপত্য নকশা অনুমোদন করা হয়েছে।

অনুমোদিত স্থাপত্য নকশার আলোকে বিদ্যমান পুরাতন সার্কিট হাউজের পাশে খালি জায়গায় একটি ৬ তলা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন নতুন সার্কিট হাউজ (টাইপ-৩) নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের প্রস্তাবিত মূল কার্যক্রমের লক্ষ্যে অনুমোদিত স্থাপত্য নকশার আলোকে বিদ্যমান পুরাতন সার্কিট হাউজের পাশে প্রস্তাবিত ভবনে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক এবং উন্নতমানের আসবাবপত্র, অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা, উন্নতমানের ফিটিংস, রুম হিটার, গিজার ইত্যাদিসহ গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া একটি রান্নাঘর, বাগানের চতুর্দিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, একটি ৪-তলা ভিত বিশিষ্ট ৪ তলা ভবন যার নিচ তলায় গ্যারেজ, সাব-স্টেশন, ২য় তলায় পুলিশের ব্যারাক, ৩য় এবং ৪র্থ তলায় ড্রাইভার ও স্টাফদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা থাকবে। প্রস্তাবিত নতুন সার্কিট হাউজের প্রতি তলায় সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

অত্যাধুনিক স্থাপত্য নকশার আলোকে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর জেলায় আধুনিক মানের সার্কিট হাউজ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ছাড়াও পরিকল্পনা মন্ত্রী মো. আব্দুল মান্নানকে জামালপুর জেলাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

অপরদিকে যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জামালপুর জেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে জেলার উন্নয়নের রূপকার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এবং জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

সব মিলিয়ে জামালপুর জেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কোনো প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে।

এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির অক্লান্ত পরিশ্রমে। জামালপুর জেলায় হাজার হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কোনো প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে।

সেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে রাজধানী ঢাকার অদূরে জামালপুর হবে একটি উপ-রাজধানী।