নিজের ঘর থেকেই গৃহকর্মীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : পাওয়ার প্রকল্পের সভায় মোজাফফর হোসেন এমপি

উন্নয়ন সংঘের পাওয়ার প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোজাফফর হোসেন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: পত্রিকা, টেলিভিশনে মাঝে মধ্যেই গৃহকর্মীদের উপর পাশবিক নির্যাতনের খবর দেখা যায়। গৃহকর্মীদের সামান্য ভুল অথবা বিনা কারণে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়া, গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতন করে থাকে গৃহকর্তা আর গৃহকর্তীরা। অথচ সকাল থেকে রাত অবধি তারা অমানুষিক পরিশ্রম করে। শ্রম অনুযায়ী তাদের মজুরি দেওয়া হয় না। আমরা যদি মানবিক না হই তাহলে তাদের জীবনের দুর্বিসহ যন্ত্রণা কোনদিন থামবে না। আমাদের যার যার নিজের ঘর থেকেই গৃহকর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ করতে হবে। অক্সফামের সহায়তায় উন্নয়ন সংঘের এ মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। ৮ জানুয়ারি জামালপুর সদর উপজেলায় উন্নয়ন সংঘ আয়োজিত পাওয়ার প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোজাফফর হোসেন।

দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গৃহকর্মীদের উন্নত জীবন ব্যবস্থা তৈরি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জামালপুর জেলায় অক্সফামের সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সদর উপজেলা সভাকক্ষে প্রমোশন অফ উইম্যান এম্পাওয়ারমেন্ট এন্ড রাইটস (পাওয়ার) প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জামালপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরকত উল্লাহ।

সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন লিটা, সদর উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, মানবসম্পদ পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সহকারী পরিচালক মুর্শেদ ইকবাল এবং ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী জ্যোৎস্না আক্তার।

সভাসূত্র জানায়, সর্বোত্তম পর্যায়ে বর্ধিত মজুরি এবং কর্মস্থলে গৃহকর্মীদের মানসম্মত কর্মঘণ্টা বজায় রাখা, নারীর জন্য ইতিবাচক মনোভাব তৈরি ও পরিবারে সহনশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে লাগসই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, গৃহকর্মীদের মধ্যে একটি প্লাটফরম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের মাঝে ঐক্য গড়ে তোলা এবং নিয়োগকর্তার পাশাপাশি পরিষেবা প্রদানকারীদের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে গৃহকর্মীদের জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা, স্থানীয় পর্যায়ে আইন ও নীতির কার্যকর বাস্তবায়নে উৎসাহিত করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং নারীর প্রতি সহিংসতা হ্রাস এবং ক্ষতায়ন করাসহ প্রকল্পের বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। ব্যতিক্রম এ কার্যক্রম সফল বাস্তবায়নে উপস্থিত সবাই সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সভায় সরকারি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগীসহ ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।