দেওয়ানগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

দেওয়ানগঞ্জ বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে সরিষার চাষ। ছবিটি উপজেলার সাপমারী এলাকা থেকে নেওয়া হয়েছে। ছবিটি রোববার দুপুরে তোলা।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্বার ফলনে উপজেলায় দিগন্ত জোড়া হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। সরিষা ফুল থেকে মৌয়ালরা মধু সংগ্রহে রয়েছেন ব্যস্ত। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

জানা যায়, তেল জাতীয় ফসল সরিষার চাষ পদ্ধতি খুব সহজ ও কম খরচে অল্প সময়ে খুবই লাভজনক ফসল। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা হয়। রোপণের মাত্র ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় নদ-নদী বিধৌত এলাকা হিসাবে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। গ্রামের বাড়িগুলো সরিষা স্বর্গবাড়িতে পরিণত হয়েছে। হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। বিস্তৃর্ণ এলাকা মাঠজুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ। প্রকৃতি হলুদ চাদর বিছানো মাঠে কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণে সেজেছে।

শীতের শিশির সিক্ত সরিষা ফুলের গন্ধ বাতাসে ভাসছে। হলুদ মাঠের নয়নাভিরাম দৃশ্যে মুগ্ধ এলাকাবাসী। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় তেল উৎপাদনকারী এই ফসল বর্তমানে চাহিদা ও লাভজনক ফসলে পরিণত হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরাও লাভবান হওয়ার কথা ভাবছেন।

অন্যদিকে, কৃষকের দিগন্ত জোড়া সরিষা মাঠে গাঢ় হলুদ বর্ণের সরিষার ফুল থেকে মৌয়ালরা মধু সংগ্রহে পার করেছেন ব্যাস্ত সময়।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবছর উপজেলায় ২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর আজাদ জানান, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৪ হাজার ৭৫০ জন কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।