‘আগামীতে নিজেকে সুরক্ষায় ডায়াবেটিসকে জানুন’

মতবিনিময় সভায় ডায়াবেটিস নিয়ে কথা বলেন জামালপুর ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডা. মোশায়ের উল ইসলাম রতন। ছবি : আলী আকবর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ‘আগামীতে নিজেকে সুরক্ষায় ডায়াবেটিসকে জানুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৪ নভেম্বর জামালপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জামালপুর ডায়াবেটিস সমিতির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষাসহ রোগীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ১৪ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে জামালপুর ডায়াবেটিস সমিতি পরিচালিত জামালপুর ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। পরে সমিতির সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দিবসটির প্রতিপাদ্যের আলোকে ডায়াবেটিস রোগ ও এই রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জামালপুর ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তারিকুল ইসলাম, জামালপুর ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডা. মোশায়ের উল ইসলাম রতন, কোষাধ্যক্ষ দেবব্রত নাগ মধু, সদস্য নজরুল ইসলাম সরকার, ফরহাদ হোসেন মানু ও ফয়সাল আহম্মেদ রঞ্জন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ২০২১ সালে সারাবিশ্বে ৫৩ দশমিক ৭ কোটি মানুষ অর্থাৎ প্রতি ১০ জনে একজন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ২০৩০ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৪ কোটিতে এবং ২০৪৫ সালের মধ্যে ৭৮ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।

ডায়াবেটিস হলো সারা জীবনের রোগ। একবার হলে কখনো সারে না। কিন্তু ডায়াবেটিস সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারলে একে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাদের নেই উভয়কেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলো জানতে হবে এবং নিজেকে সুরক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও রোগীদের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সুরক্ষা পেয়ে নিজেকে ডায়াবেটিস মুক্ত রাখার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, জামালপুর ডায়াবেটিস সমিতির উদ্যোগে জামালাপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৮৪ হাজার ডায়াবেটিস রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। জামালপুর ডায়াবেটিস হাসপাতালকে জামালপুর ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরিত করার পর এই হাসপাতালে স্বল্প খরচে ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার পথ আরও সুগম হয়েছে। এই হাসপাতালে আধুনিক উন্নতমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।