জামালপুরে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত

জামালপুর জেলা অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির নবগঠিত কমিটির সদস্যবৃন্দ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জাহাঙ্গীর সেলিম:
দি প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০ (১৯৬৪ সনে সংশোধিত) এর আওতায় গঠিত অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি জামালপুর জেলা কমিটির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২৫ অক্টোবর জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম ও জেলা অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন কমিটির সভাপতি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা শেষে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হয়। সমঝোতার ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য নির্বাচন কমিশনার নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

নতুন কমিটির সদস্যরা হলেন সভাপতি (পদাধিকার) অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন, সহসভাপতি (পদাধিকার) জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ, সহসভাপতি (নির্বাচিত) ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সহসভাপতি (নির্বাচিত) খন্দকার আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক (পদাধিকার) প্রবেশন কর্মকর্তা আব্দুছ সালাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক (নির্বাচিত) তৌফিকুল আলম খান, সদস্য (পদাধিকার) জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার অন্যান্য নির্বাচিত নির্বাহী সদস্যরা হলেন জাহাঙ্গীর সেলিম, এমএ জলিল, ইয়াকুব আলী ফকির, শহিদুল ইসলাম শাহীন, সাযযাদ আনসারী, শামীমা খান, আলহাজ মতিউর রহমান, জাকির হোসেন তারা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌসী। তাকে সহায়তা করেন শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারুক মিয়া।

উল্লেখ, প্রবেশন আইনের অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত আদালত প্রথম ও লঘু অপরাধে জড়িত শিশু-কিশোর বা প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে শর্ত সাপেক্ষে ১ (এক) থেকে ৩ (তিন) বছরের জন্য প্রবেশন মঞ্জুর করতে পারে। তবে শিশু-কিশোরদের জন্য এ আইনগত সুবিধা অগ্রাধিকার পায়।

অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে জেলাখানায় কয়েদি ও হাজতীদের বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা, আইনটির যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণের আয়োজন করা। এছাড়া কারাগার থেকে কোন অপরাধী কারাবরণ শেষে মুক্ত হবার পর তাদের লাগসই কাজের ব্যবস্থার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়।

বর্তমানে জামালপুর জেলা কারাগারে আটক ব্যক্তিদের মাঝে কম্পিউটারসহ ৭টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। সাজা ভোগ শেষ দুই ব্যক্তিকে দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দান করা হবে।