বকশীগঞ্জে সড়কের কেটে নেওয়া গাছ উদ্ধার করল প্রশাসন

বকশীগঞ্জে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার পর সেগুলো উদ্ধার করেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর-শ্রীবরদী সীমান্ত সড়কের ১৫টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেওয়ার পর সেই গাছ উদ্ধার করেছে প্রশাসন।

স্থানীয় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তার বাধায় বন্ধ হওয়ার পর কেটে নেওয়া গাছগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেরপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর আওতাধীন ধানুয়া কামালপুর-শ্রীবরদী সীমান্ত সড়কের পাহাড় ঘেঁষা বালিঝুড়ি বাজারের পাশে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৫টি ইউক্যালিপটাস গাছ ৫ অক্টোবর সকালে লোকজন দিয়ে কেটে নেন স্থানীয় সাতানিপাড়া গ্রামের আছমত আলী সরকারের ছেলে হারুনুর রশিদ। সড়কের ১৫টি গাছ কাটার পর স্থানীয়রা বিষয়টি লাউচাপড়া ডুমুরতলা বিট কর্মকর্তাকে জানালে বিট কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম খান দ্রুত ঘটনাস্থলে সড়কের বাকি গাছগুলো কাটা বন্ধ করে দেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে দুপুর ১টায় ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি ঘটনার সত্যতা পেলে সরকারি গাছগুলো উদ্ধার করেন।

তবে হারুনুর রশিদ জানান, ধানুয়া কামালপুর থেকে সীমান্ত সড়ক সম্প্রসারণ করতে গিয়ে জনস্বার্থে তিনি তার সড়কের পাশের কিছু জমি সওজকে দিয়েছেন এবং সেখানে তিনি গাছ লাগিয়েছিলেন তাই সড়কের সেই গাছগুলো কেটেছিলেন। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে জানান অভিযুক্ত হারুনুর রশিদ।

লাউচাপড়া ডুমুরতলা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম খান জানান, গাছগুলো শেরপুর সওজ এর, তারপরও আমরা বাধা দিয়েছি না কাটতে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা এবিষয়ে বলেন, সরকারি সম্পত্তির গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে শুনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর পর গাছগুলো হেফাজতে নেওয়া হয়।