মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার সুবিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: একাত্তরের গণহত্যার সুবিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে জামালপুরে মানববন্ধন করেছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ জামালপুর জেলা শাখা। ২ অক্টোবর সকালে জামালপুর শহরের দয়াময়ী মোড়ে শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লীর সামনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ জামালপুর জেলা শাখা এ মাবববন্ধনের আয়োজন করে।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক ও জামালপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান ডল, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ তানভীর আহমেদ, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম, জামালপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি ও বাংলারচিঠিডটকম এর সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল চিশতি, আমরা একাত্তর জেলা শাখার আহ্বায়ক ড. মাহমুদুল আলম শুভ, দৈনিক সচেতনকণ্ঠের সম্পাদক মো. বজলুর রহমান, কবিতা পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ফেরদৌস, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা শাখার আহ্বায়ক মুক্তা আহমেদ, সম্প্রীতি বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি তুষার মল্লিক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবু, জেলা ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সুজন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এত সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে এত বেশি সংখ্যক লোককে হত্যা করার নজির নেই। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী জেনোসাইডের সেই নৃশংসতার নজির সৃষ্টি করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, উৎখাত, উৎপীড়নসহ একটি জাতিকে বিপন্ন করার সকল চেষ্টাই তারা করেছে। স্বাধীনতার পর ৫১ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই নৃশংসতার ঘটনাকে জেনোসাইড হিসেবে জাতিসংঘ আজও স্বীকৃতি দেয়নি। বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৩ অক্টোবরের আলোচনায় ২৫ শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জোর দাবি জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের ৩ নম্বর এজেন্ডায় মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইড ইস্যুটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জেনোসাইড ইস্যুতে আলোচনার জন্য জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনে একটি হল বরাদ্দ করেছে।