মেলান্দহে সহকারী তথ্য কর্মকর্তা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম

হামলায় আহত ফারজানা আক্তার সুইটি ও তার স্বামী সহকারী তথ্য কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মুত্তাছিম বিল্লাহ্, মেলান্দহ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় তথ্য অধিদপ্তরের সহকারী তথ্য কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন (৪৫) ও তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার সুইটিকে (৩৫) কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় এক যুবক। ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে উপজেলায় তার নিজ বাড়ি মাহমুদপুর ইউনিয়নের আগপয়লা ঠেংগেপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে বর্তমানে মোশারফ হোসেন ও তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার সুইটি জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোশারফ হোসেন জানান, কিছু দিন পূর্বে তার পরিবার অসুস্থ্য মাকে দেখার জন্য ঢাকার বাসা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে তিনিও গ্রামের বাড়িতে আসেন। রাত ৮টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে অতর্কিতভাবে একই এলাকার জহুরুল মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২২) মোশারফ হোসেনের স্ত্রী ফারজানা আক্তারের উপর দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে ফারজানা আক্তারের আত্মচিৎকারে পাশর্^ কক্ষে থাকা মোশারফ হোসেন উদ্ধার করতে আসলে মোশারফ হোসেনকেও কামড়ে জখম করে। ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

হাসপাতলের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, ফারজানা আক্তার সুইটির অবস্থা অনেক গুরুতর। তার মাথার মধ্যভাগ ও পিছনে দায়ের কোপের ফলে জখম হয়েছে। মাথায় ও পিঠে বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে নাজমুল ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

তিনি আরও জানান, আসামী নামজুল জখম করার পরে তার পরিবারের লোকজন ছলিমুদ্দিন মোল্লা (৬০), লাঞ্জু মিয়া (৩৫), জহুরুল ইসলাম (৫৫), সোহাগ (২২) সহ আরও বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোঠা নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালালে স্থানীয়দের বাধার মুখে ফিরে যায়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।